BRAKING NEWS

শেডিংয়ের যন্ত্রণায় গরমে হাঁসফাঁস, ক্ষোভে ফঁুসছেন ভোক্তারা, হেলদোল নেই নিগমের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫, জুন৷৷ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে শেডিং৷ শেডিংয়ের জেরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে আবাল বৃদ্ধবণিতাকে৷ গত ১৮ জুন রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ সাংবাদিক সম্মেলন করে ববেছিলেন রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদার কোন ঘাটতি নেই৷ আর সে কারণেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানী করা যাচ্ছে৷ তাছাড়া চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের পর্যাপ্ততা আছে বলেই নেপালেও বিদ্যুৎ রপ্তানীর কথা আলোচনা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয় বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখতে ‘‘বিদ্যুৎ আপনার দোরগোড়ায়’’ নামে একটি প্রকল্প চালুর পাশাপাশি টোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার কথাও তিনি বলেছিলেন৷

কিন্তু সব থেকে দুঃখের বিষয় হল সাংবাদিক সম্মেলন করার পরদিন থেকেই শুরু হয়ে যায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট৷ বিশেষ করে পুরনিগম এলাকাতেই এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনগণ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে৷ একদিকে প্রচণ্ড দাবদাহে জনগণ যখন নাজেহাল তখন এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল রাজধানীবাসী৷ এখন প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে আসলেই কি বিদ্যুতের পর্যাপ্ততা রয়েছে কিনা? যদি থাকে তাহলে কি দপ্তরের মন্ত্রীকে হেয় প্রতিপন্ন করতে দপ্তরের কর্মীরা গা শিথিল করেছেন৷ কারণ নতুন সরকার ক্ষমতায় আসলেও দপ্তরের আধিকারিকরা অনেকে লাল সালু ত্যাগ করতে পারছেন না৷

তৎকালীন অপকর্ম সংসৃকতির মোড়া চাদর থেকে বেড়িয়ে এসে কর্মসংসৃকতির দিকে এগিয়ে আসছেন না৷ এহেন পরিস্থিতি জনগণ কাকে দোষারোপ করবেন? কোন ঝড়, বৃষ্টি না থাকা সত্ত্বেও দুপুরই কি আর রাত্রিই কি শেডিং শুরু হয়ে যায়৷ বিদ্যুৎ মন্ত্রী আধিকারিকের ফোন নম্বর দিলেও গণহারে তারা ফোন কল বর্জন করেই চলছে৷ মন্ত্রী পরিষেবার মানের উন্নয়নের কথা বললেও তা কার্যত খারাপের পর্যায়েই যাচ্ছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ৷ নিগমের খোলনলচে বদলাতে না পারলে পরিষেবার মান উন্নত হওয়া তো দূরের কথা তা আরও দিন দিন অবনতির দিকে যাবে বলেই আশঙ্কা করছে সাধারণ ভোক্তারা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *