নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুন৷৷ এক মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ জেলার সাব্রুম থানার অধীন রতনমণি এডিসি ভিলেজের ধুপছড়ি গ্রামের এক জঙ্গলে৷ ওই মহিলার নাম রুপাইছু মগ৷ বয়স পঁয়ত্রিশ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷

সংবাদে প্রকাশ, রতনমণি এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা থাইলা মগের স্ত্রী রুপাইছু মগ বাঁশ করুল সংগ্রহ করার জন্য ছুপছড়ির জঙ্গলে যান৷ অন্যদিকে তাঁর স্বামী ব্যাঙ্কের লোনের টাকা পরিশোধ করার জন্য মনুঘাটে একটি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন৷ রুপাইছু মগ সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ জঙ্গলে গিয়েছিল বাঁশ করুল সংগ্রহ করার জন্য৷ স্বামী বাড়ি ফিরে আসলেও স্ত্রী বাড়ি ফিরেনি৷ দীর্ঘ সময় বাড়িতে ফিরে না আসায় থাইলা মগের সন্দেহ হয়৷ পরে এলাকাবাসীকে নিয়ে জঙ্গলে যায় খোঁজাখঁুজি করতে৷ জঙ্গলে গিয়ে দেখা যায় রূপাইছু মগের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷
যদিও মৃতদেহে কোন আঘাত চিহ্ণ নেই৷ তবে, ওই মহিলাকে যে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল তা মৃতদেহ দেখে আন্দাজ করতে পারেন এলাকার লোকজন৷ সাথে সাথেই খবর দেয়া হয় সাব্রুম থানায়৷ থানার ওসি কমলকান্তি চৌধুরী অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, মৃতার স্বামী সাব্রুম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে রাতে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ এই হত্যাকান্ডের কোন ক্লু বের করতে পারেনি৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ তবে, গ্রামবাসীর আশঙ্কা পরিচত কেউ ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছে এবং মহিলা যাতে পরে মুখ খুলতে না পারে তাই তাকে হত্যা কারা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নারী সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে৷ এই ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলরে তরফ থেকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে৷ পাশাপাশি অন্যান্য গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ পারিবারিক হিংসা লাঘবের ক্ষেত্রে আরও বেশী সচেতনতা কর্মসূচী প্রশাসনিক ভাবে নেওয়া প্রয়োজন৷ যদিও, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিপূর্বে প্রয়াস নামক একটি কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল৷ বর্তমানে এই প্রয়াস কর্মসূচী বন্ধ হয়ে আছে৷