নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১০ জুন ৷৷ পাচারকালে গাড়িসহ প্রচুর পরিমাণ চেরাই সেগুন লগ উদ্ধার চুরাইবাড়িতে৷ গতকাল রাতে চুড়াইবাড়ি ফরেস্ট রিজার্ভ থেকে প্রচুর পরিমাণ সেগুন পাচারকালে আটক করেন বিট অফিসার৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দলবল নিয়ে বিট অফিসার অমিত সূত্রধর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাড়িসহ সেগুন কাঠ জব্দ করেন৷তবে ফরেস্টার কে আসতে দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় পাচারকারী তথা গাড়ির চালক মিয়া৷ চোরাকারবারী নেজাম উদ্দিন এর বাড়ি আসামের বাজারীছড়া এলাকায়৷ বর্তমানে সে বিবাহসূত্রে চুরাইবারি খাদিমপাড়া তে বসবাস করছে৷ কিন্তু সেখান থেকে সে দুনম্বরী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে৷
এমনিতে খাদিমপাড়া এলাকাটি অত্যন্ত পাচার বাণিজ্যের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত৷ সেখান থেকে প্রতিদিন চোরা কারবারী ও পাচার চক্রের জন্ম হয়৷ আর এদের প্রত্যেকেরই একটাই ঠিকানা,ফরেস্ট এর রিজার্ভ থেকে প্রতি দিন প্রতিনিয়ত গাছ কেটে বহি :রাজ্য তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চোরাচালান করা৷ আর এভাবে প্রতিদিন বন ধবংস করতে করতে বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে চলছে৷ অন্যদিকে সরকারি কোষাগার কে শূন্য করে নিজেদের পকেট দশগুণ ভারী করে তুলেছেন ওইসব চোরাকারবারীরা৷ এদিকে জানা যায়, নেজাম উদ্দিন বিবাহসূত্রে কয়েক বছর ধরে ত্রিপুরার চুড়াইবাড়ি থানা দিন খাদিমপাড়া এলাকায় বসবাস করছে৷ আর সেখানে একমাত্র রোজগারের পথ হিসাবে চোরাকারবারীর পথ বেছে নিয়েছে৷ থানা পুলিশ এমনকি বনদপ্তরের কর্মীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে বন ধবংস করে চলছে ওই বন মাফিয়া৷ বর্তমানে গাড়িসহ আটক সেগুন কাঠ গুলি পানিসাগর রেঞ্জ অফিসে রয়েছে৷ প্রায় ৬০ ফুট সেগুন লগ এর বাজার মূল্য লাক্ষাধীক টাকা বলে জানান বিট অফিসার অমিয় সূত্রধর৷পাচারকার্যে ব্যবহৃত ১০ত্থত্ব ১৭১২ নম্বরের গাড়িটিও বনদপ্তরের হেপাজতে রয়েছে৷ তিনি জানান, চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান জারি রয়েছে৷