নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ জুন ৷৷ গত সাড়ে তিন মাস পূর্বে ভালবেসে বিয়ে হয় অন্তরা বনিক ও সত্যজিৎ দাসের৷ স্বামী সত্যজিৎ দাস পেশায় চিকিৎসক৷ অন্যদিকে অন্তরা বনিক বি এস সি নার্সিং উত্তীর্ণ৷ পরিবারের অভিযোগ ভালবাসা চলাকালীন সময়ে দুজনে বিয়ে করবে বলে ঠিক হয়৷ কিন্তু মাঝে অন্তরার কিছু বিষয়ে অসঙ্গতি চোখে পড়ে৷ সে বিয়ে করবে না বলে পরিবারকে জানায়৷ কিন্তু প্রেমীক সত্যজিৎ দাস বিয়ে করবে বলে নাছোড় বান্দা ছিল৷
মেয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে বিয়ের জন্য তাদের রাজি করায়৷ গত সাড়ে তিন মাস আগে দুজনের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়৷ গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ এরপর থেকে অন্তরাকে বাপের বারি আসতে দিত না শ্বশুর বাড়ির লোকেরা৷ তার উপর চালানো হত মানসিক নির্যাতন৷ এমনকি ফোনে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বললেও তার উপর চালানো হত নজর দারী৷ এই অবস্থায় ভেঙ্গে পড়ে অন্তরা৷ গত বৃহস্পতিবার গৃহবধূ অন্তরাকে স্বামী চিকিৎসক সত্যজিৎ দাস ও শ্বাশুরি অনিমা বৈদ্য মিলে ঘুমের ওষুধ খেতে দেয়৷ তাকে এই ওষুধ খেতে বাধ্য করা হয়৷
অপমানে অন্তরা এই ঘুমের ওষুধ খায়৷ অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ভর্তি করা হয় টি এম সি হাসপাতালে৷ শুক্রবার বিষয়টি পরিবারকে জানানো হয়৷ অবশেষে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেরা শুক্রবার সন্ধ্যায় আমতলি থানায় মামলা দায়ের করে৷ পুলিশ হাপানিয়া দুর্গাপাড়া শ্বশুর বারি গিয়ে অভিযুক্ত স্বামী চিকিৎসক সত্যজিৎ দাসকে পায়নি৷ অবশেষে শনিবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বাশুরি অনিমা বৈদ্যকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে৷ এই ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ৷ গৃহবধূ অন্তরা বনিকের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানা গেছে৷