রাজ্যে বাঁশ শিল্পের বিকাশে স্বাক্ষরিত মউ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুন ৷৷ রাজ্যের বাঁশ ভিত্তিক কুটির ও হস্তশিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আগরতলার ব্যাম্বো অ্যান্ড ক্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এবং ত্রিপুরা ব্যাম্বো মিশন-এর মধ্যে আজ রবিবার মেমোরেন্ডাম অব অ্যাগ্রিমেন্ট (মউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ রাজধানীর লিচু বাগান এলাকার ব্যাম্বো অ্যান্ড ক্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট-এর কনফারেন্স হল-এ স্বাক্ষরিত হয়েছে মউ চুক্তি৷ মউ চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের অধিকর্তা শশীরঞ্জন কুমার, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের আধিকারিক নাগেশকুমার বি প্রমুখ৷ আজকের অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে তৈরি বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশের নার্সারি ঘুরে দেখেন৷ এর পর তিনি এখানে রাখা বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন নকশার বাঁশ কাটার যন্ত্রপাতি দেখেন৷


প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষকরা সে-সব চালিয়ে দেখান মুখ্যমন্ত্রীকে৷ তিনি নিজেও হাতে নিয়ে দেখেন তাঁদের তৈরি বাঁশজাত সামগ্রী৷ সব শেষে স্বাক্ষরিত হয় মউ চুক্তি৷ ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের অধিকর্তা এবং ব্যাম্বো অ্যান্ড ক্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট-এর পক্ষে আরকে শ্রীবাস্তব মউ-এ স্বাক্ষর করেছেন৷


এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব বলেন, মউ স্বাক্ষরের ফলে একদিকে যেমন বাঁশ গবেষণার উন্নয়ন হবে, তেমনি রাজ্যের বাঁশশিল্পের সঙ্গে যুক্তরা লাভবান হবেন৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্যে বিপুল পরিমাণে বাঁশ উৎপাদিত হয়৷ এখানকার মানুষ বাঁশকে ভিত্তি করে বহু সুন্দর সুন্দর সামগ্রী তৈরি করেন৷ কিন্তু আগে কখনও তা বিপণন এবং বিদেশে রফতানির কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি৷

ফলে এই সকল কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা তেমনভাবে লাভবান হতে পারেননি৷ এখন সরকার তাঁদের কথা চিন্তা করে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে৷
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাঁশের কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা যাতে সঠিক অর্থ পান, এই বিষয়টি সকলকে নজরে রাখতে হবে৷ কী করে সস্তায় সামগ্রী তৈরির কাঁচামাল জঙ্গল থেকে নিয়ে আসা যায় এর ব্যবস্থা করতে হবে৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী ব্যাম্বো অ্যান্ড ক্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাঁচ শিল্পীকে মানপত্র তুলে দিয়েছেন৷