BRAKING NEWS

পলাতক জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে

ঢাকা, ২ জুন(হি.স.): জঙ্গিবাদকে অন্যান্য অপরাধের মতো আইনী সহায়তা দিলে তা আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাপিড  এ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাপ) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। জঙ্গিবাদকে ভিন্নভাবে দেখতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। রবিবার  সকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অনুরোধ জানান।

এদিকে আওয়ামি লিগের সভাপতিম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশে জঙ্গিবাদ নিঃশেষ হয়ে যায় নি, যে কোনও সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এখন আমরা আবার নতুন করে জঙ্গিবাদের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। আবারও মানুষ হত্যা করার জন্য ডাক দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে দুটি হামলার ঘটনায় আইএসের নামে বার্তা আসার প্রেক্ষাপটে গতকাল আওয়ামি লিগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জামিনে পলাতক জঙ্গিরা আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, তারা বেশিদিন এই   তত্পরতা চালাতে পারবে না। তিনি বলেন, হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত  ৫১২ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৩০০ জন জামিনে আছেন, যাদের অধিকাংশই পলাতক। এই সূত্র ধরেই আইনজীবীদের উদ্দেশে বেনজির বলেন, টাকা দিলেই জঙ্গিদের পক্ষে আদালতে দাঁড়াবেন না। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অন্য ৮-১০টি অপরাধের মতো জঙ্গিবাদকে দেখবেন না, দেখলে তা হবে আত্মঘাতী। জঙ্গিরা আদালতেও হামলা করেছে, কেউ তাদের আওতার বাইরে নয়। আপনারা যাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে জামিনের ব্যবস্থা করেছেন, তাদের আবার কোর্টে হাজির করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু তারা প্রায় সবাই পলাতক। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ, জঙ্গিদের বিষয়টাকে আপনারা ভিন্নভাবে দেখবেন। আইনের ফাঁক দিয়ে জঙ্গিরা বের হয়ে যাচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের কোনও সমস্যা নেই, আইন প্রয়োগে সমস্যা থাকতে পারে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে র‌্যাপ প্রধান বলেন, বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় তিন পর্যায়েই জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়েছে। তবে নিজস্ব গোয়েন্দাদের পাশাপাশি অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে আমাদের তত্পরতা অব্যাহত রয়েছে। অপ-তত্পরতা বা যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগে প্রস্তুত থাকার কথাও জানান তিনি।

ঈদকালীন নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, রমজানের শুরু থেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো ঘিরে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। রাজধানীর বাস-ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ১৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। দেশজুড়ে ৪২টি স্থানে র‌্যাপের নজরদারি রয়েছে। জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে পাঁচশতাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানী ছাড়াও শোলাকিয়া, দিনাজপুরসহ সবকটি বড় ঈদ জামাতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে ঈদ উত্সবটি নিরাপদ করার ব্যবস্থা করা হবে। দেশজুড়ে র‌্যাপের সর্বোচ্চ উপস্থিতি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ঈদে ফাঁকা শহরগুলোতে যে কোনও অপরাধ রুখতে আমাদের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *