সমাজদ্রোহীদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট কৈলাসহরের মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ মে ৷৷ চোর, ছিনতাইকারী ও সমাজদ্রোহীদের ত্রিবেণী সংযোগে কৈলাসহর শহরের ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন৷ প্রতি রাতেই কোন না কোন ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে৷ পুলিশ প্রশাসনের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ণ তুলেছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণ৷ বৃহস্পতিবার রাতে শহরের নেতাজী কর্নারে ২ টি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ কৈসাসহর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে শনিবার থানা কতৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে৷

অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন বলে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷ উনকোটি জেলার জেলা সদর কৈলাসহর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত৷ সীমান্তঘেষা এই শহরে প্রায় প্রতিনিয়তই চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে চলেছে৷ গত ১মাসে কৈলাসহর শহরে ১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ একটি ক্ষেত্রেও পুলিশ সাফল্য পায়নি৷ সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে দুটি দোকানে হানা দেয় চোরের দল কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী হাতিয়ে নিয়ে গেছে৷ তাতে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ শুক্রবার কৈলাসহর থানায় ডেপুটেশন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছেন৷

এর আগেও তারা কৈলাসহর থানা কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন ও স্মারক লিপি প্রদান করে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধ করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তাতে তেমন কোন সাফল্য মেলেনি৷ শহর এলাকায় কয়েকটি রাস্তায় সিসি টিভি লাগিয়েছে পুলিশ৷ রাতে টহলদারী থাকলেও চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না৷ তাতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ৷ ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ শুক্রবার শেষ বারের মতো ডেপুটেশন ও স্মারক লিপি প্রদান করে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এসব ঘটনা বন্ধ করতে পুলিস সক্ষম না হলে ব্যবসায়ীরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে বাধ্য হবেন৷ তারা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার আঙুল তুলেছেন৷ পুলিস সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে এধরনের চুরি, ছিনতাই ও অসামাজিক কাজকর্ম অনায়াসে বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে ব্যবসায়ী বৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷