নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মে৷৷ ফের রাজ্যে পাচারের সময় ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে বিএসএফ৷ অন্য আরেকটি ঘটনায়, পাচারের সময় ৭টি গবাদি উদ্ধার হয়েছে৷ গবাদি পশু উদ্ধার অভিযানে বিএসএফ-কে নন-ল্যাথাল বন্দুক থেকে গুলি ছুড়তে হয়েছে৷

বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জিব কুমার জানিয়েছেন, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে সিপাহীজলা জেলার কলমছড়া থানাধীন আশাবাড়ি বিওপি-র জওয়ানরা বাংলাদেশে পাচারের সময় ৯৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৪৭ বেতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছেন৷ তিনি জানান, বিএসএফ জওয়ানরা ওই সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীদের গতিবিধি টের তাদের পিছু ধাওয়া করে৷ কিন্তু, পাচারকারীরা তা টের পেয়ে পাচার সামগ্রী ফেলে পালিয়ে যায়৷ উদ্ধার পাচার সামগ্রীর বাজার মূল্য হবে আনুমানিক ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫০২ টাকা৷ সঞ্জিব কুমার বলেন, উদ্ধার সমস্ত পাচার সামগ্রী বিএসএফ জওয়ানরা কলমছড়া থানার হাতে তুলে দিয়েছেন৷
অন্য একটি ঘটনায় ৭টি গবাদি পশু উদ্ধার হয়ে বলে বিএসএফ আধিকারিক জানিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, পশ্চিম জেলার মধুপুর থানাধীন কামথানা বিওপি-র জওয়ানরা বাংলাদেশে পাচারের সময় ৭টি গবাদি পশু উদ্ধার করেছেন৷ তাঁর দাবি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গবাদি পশু পাচার আটকানোর পবিকল্পনা নেয় বিএসএফ৷ সে মোতাবেক ৭টি গবাদি পশু পাচারের সময় বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের থামার জন্য নির্দেশ দেন ৷ কিন্তু, পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করেন ৷ সঞ্জিব কুমারের কথায়, তাঁদের বেশ কয়েকবার থামার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, তারা থামেনি৷ তাই, বিএসএফ জওয়ানরা নিরাপদ দূরত্বে নন-ল্যাথেল বন্দুক থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন ৷ তাতে, ভয়ে পাচারকারীরা গবাদি পশু ফেলে পালিয়ে গিয়েছে ৷ ওই এলাকা তল্লাশি করে বিএসএফ জওয়ানরা ৭টি গবাদি পশু উদ্ধার করে মধুপুর থানার হাতে তুলে দিয়েছেন৷
সঞ্জিব কুমারের মতে, ত্রিপুরায় সীমান্ত এলাকায় কড়া পাহাড়া সত্বেও পাচারকারীরা পাচার বাণিজ্য বন্ধ করছে না৷ তাই, সীমান্তে আরো কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ তাতে, টহলদারি আরো বাড়ানো হচ্ছে৷
