BRAKING NEWS

দেশে ত্রিপুরা মডেল, আমবাসা ব্লক দত্তক নিল এনসিইআরটি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ মে৷৷ এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম চালু করার বিষয়ে সারা দেশে ত্রিপুরা মডেল রাজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে৷ নয়াদিল্লিতে প্রজেক্ট অ্যাডভাইজারি বোর্ডের বৈঠকে ত্রিপুরার পিঠ চাপড়িয়েছে এনসিইআরটি৷ শুধু তা-ই নয়, সংস্থার অধিকর্তা ঋষিকেশ সেনাপতি এবং পাঠ্যক্রমের প্রধান আধিকারিক অধ্যাপক রঞ্জনা আরোরা ত্রিপুরায় এসে ধলাই জেলার আমবাসা ব্লককে দত্তক নিচ্ছে এনসিইআরটি, তা-ও জানিয়েছেন৷ এ-বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ শিক্ষায় এক বছরে ত্রিপুরাকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমস্ত কৃতিত্ব দিয়েছেন৷


এনসিইআরটি-র অধিকর্তা ঋষিকেশ সেনাপতি এবং পাঠ্যক্রমের প্রধান অধ্যাপক রঞ্জনা অরোরা ত্রিপুরা সফর করে গিয়েছেন৷ মূলত, সারা দেশে বুনিয়াদি শিক্ষায় ৪২ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে এনসিইআরটি৷ তাতে ত্রিপুরাকেও অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ তাছাড়া, এক বছরে এনসিইআিরটি পাঠ্যক্রম চালু করার জন্য এনসিইআরটি সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরাকে মডেল রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করেছে৷ সংস্থার অধিকর্তা জানিয়েছেন, দিল্লিতে গত ৮ মে প্রজেক্ট অ্যাডভাইজারি বোর্ডের বৈঠকে ত্রিপুরার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে৷ শুধু তা-ই নয়, যে রাজ্যগুলিতে এখনও এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম চালু হয়নি তাদেরকে ত্রিপুরাকে অনুসরণ করার জন্যও বলা হয়েছে৷
এনসিইআরটি-র অধিকর্তা ত্রিপুরা সরকারকে জানিয়েছেন, ধলাই জেলার আমবাসা ব্লক এনসিইআরটি দত্তক নেবে৷ ওই ব্লকের পড়াশুনার সমস্ত দায়িত্ব নেবে এনসিইআরটি৷ প্রসঙ্গত, ধলাই জেলার আমবাসা ব্লকে ১০৮টি বিদ্যালয় রয়েছে৷ এর মধ্যে রাজ্য সরকারের পরিচালনায় রয়েছে ৫৯টি এবং এডিসি-র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৪৯টি বিদ্যালয়৷ ওই বিদ্যালয়গুলিতে মোট ৯,৪৯৯ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে৷ এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৫৫৬৷


সারা দেশে ৬টি জেলার একটি করে ব্লক দত্তক নিয়েছে এনসিইআরটি৷ আমবাসা ব্লক চতুর্থ ব্লক হিসেবে চিহিণত হয়েছে৷ ত্রিপুরায় ধলাই জেলা সম্ভাবনা জেলার তকমা পেয়েছে৷ তাই ধলাই জেলার আমবাসা ব্লক এনসিইিরাটি দত্তক নিয়েছে বলে এসসিইআরটি-র জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ২০২০ সালে জাতীয় মূল্যায়ণ সমীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷ ফলে, এনসিইআরটি আমবাসা ব্লককে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে৷


চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ত্রিপুরায় এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে৷ ফলে, এনসিইরটি-র পাঠ্যক্রম অনুসারে ২৮৪ জন প্রধান প্রশিক্ষক বাছাই করতে হয়েছিল৷ তাঁরা এনসিইআরটি-র কাছ থেকে পাঠ্যক্রম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷ তার পর ত্রিপুরায় বুনিয়াদি শিক্ষায় ৩১ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন৷ তাছাড়া, শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে নতুন পাঠ্যক্রম অনুসারে পাঠ্যবই পৌঁছে দিতে পেরেছে ত্রিপুরা৷ এই সমস্ত কারণেই এনসিইআরটি ত্রিপুরাকে মডেল রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করেছে৷ এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এর পেছেনে সমস্ত কৃতিত্ব রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের৷ তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ঐকান্তিক চেষ্টায় খুব অল্প সময়ে ত্রিপুরায় এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়েছে৷


এদিকে, ত্রিপুরা সরকার প্রত্যেক জেলায় এনসিইআরটি-র প্রশিক্ষকের প্রস্তাব পাঠিয়েছে৷ এছাড়া ২০টি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় সিবিএসই-কে হস্তান্তরের পূর্বে কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য চারটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা দফতর৷ একজন করে প্রকৌশলী, ডায়েট ফ্যাকাল্টি, প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিদর্শন এবং আধিকারিক রয়েছেন ওই কমিটিতে৷ ওই ২০টি বিদ্যালয়ের কী পরিস্থিতি, কোনও অভাব রয়েছে কিনা কিংবা কীসের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রয়েছে তা খতিয়ে দেখে কমিটি রিপোর্ট দেবে শিক্ষা দফতরকে৷ তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে দফতর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *