BRAKING NEWS

মায়াবতীর উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি, ১৬ এপ্রিল (হি.স.): আপত্তিজনক মন্তব্য করার জন্য বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র সুপ্রিমো মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারে ভাষণ দেওয়ার উপর ৪৮ ঘন্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আর্জি জানিয়েছিলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। কিন্তু, তাঁর এই আর্জি খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এর নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চের জানায় যে, আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তাই এই বিষয়ে বাড়তি হস্তক্ষেপ নিষ্প্রয়োজন। ফলে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রইল বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর ক্ষেত্রে। গত সপ্তাহে দেওবন্দে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় বিদ্বেষ ছাড়ানো উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন মায়াবতী। তারপর সোমবার মায়াবতীর উপর ৪৮ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য সপা নেতা আজম খান, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।

নিজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার খবর পেয়ে সোমবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে মায়াবতী বলেছিলেন, প্রত্যেক নাগরিকদেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই অধিকার থেকে নির্বাচন কমিশন আমায় বঞ্চিত করেছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ‘কালো দিন’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়াকেই জোর ধাক্কা হিসাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। কারণ দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ১৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সুতরাং মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করা যাবে। সেখানে মঙ্গলবার প্রচার করতে পারবেন না বহেনজি। কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় অনাস্থা প্রকাশ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হল না তাঁর।

অন্যদিকে, এদিন রাজনীতিবিদরা যাতে নিজেদের ভাষণে উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন তার জন্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বসবাসকারী এক অনাবাসী ভারতীয়। এই প্রক্ষিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, নির্বাচন কমিশন জেগে উঠেছে এবং নিজের শক্তিকে ফিরে পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *