BRAKING NEWS

পিছিয়ে গেল সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার দুর্নীতি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের সময়

ঢাকা, ৭ এপ্রিল(হি.স.): সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১৬ মে দিন ঠিক করেছে আদালত। আজ রবিবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।


আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলাটি করেন বিএনপির সাবেক নেতা, বর্তমানে আওয়ামি লিগ ঘনিষ্ঠ, সাবেক মন্ত্রী ও আইনজীবী নাজমুল হুদা। নতুন দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি নাজমুল হুদার মামলার এজাহারে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেন এস কে সিনহার বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তদন্ত করছেন।


উল্লেখ্য, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে (এস কে সিনহা) রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাঁকে ইচ্ছামতো যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস এবং কাজের অনুমতিও দিয়েছে সে দেশের সরকার। রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে সিনহার করা একটি আবেদন মঞ্জুর করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। একাধিক দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, সম্প্রতি সিনহার আবেদনের ওপর একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি, কংগ্রেস প্রতিনিধি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তায় কাজ করা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে এস কে সিনহার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনটি গৃহীত হয়। এর আগে ওয়াশিংটন প্রেস ক্লাবে বহুল আলোচিত ‘এ ব্রোকেন ড্রিম’বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিনহা জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য পররাষ্ট্র দফতরে আবেদন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, এই দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) আমার কোনো পরিচয় (স্ট্যাটাস) নেই। আমি শুধু একজন আশ্রয় প্রার্থী। তাই আমি এখানে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি।


ওই অনুষ্ঠানে সিনহা দাবি করেন, তাকে হাউস অব কমন্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত নিতে না পারার কারণে তিনি যাননি। তিনি বলেন, আমি নিরাপদবোধ করছি না। আমি ভীত থাকি, ২৪ ঘণ্টা বাড়িতেই থাকি। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা আমার বাড়ি সব সময় মনিটরিং করে এবং যারা আমার বাড়িতে আসে তাদের ছবি তোলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *