পাথারকান্দি (অসম), ৪ এপ্রিল (হি.স.) : রবিবার সন্ধ্যায় ঝড়-তুফান ও বৃষ্টিপাতের সময় সেই যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার এই খবর লেখা পর্যন্ত ঘুঁট ঘুঁটে অন্ধকারাচ্ছন্ন পাথারকান্দি মহকুমা। এতে সাধারণ জনজীবন ব্যাহত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের অবর্তমানে এলাকার সবকটি মোবাইল টাওয়ারও নিয়মিত পরিষেবা প্রধানে ব্যর্থ। নিয়ম মোতাবেক প্রতিটি মোবাইল টাওয়ার চালু রাখার জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু একাংশ কর্তব্যরত কর্মীরা জেনারেটরের জ্বালানি চোরাপথে বিক্রি করে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছেন।
গত এই কয়েকদিন ধরে জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন ইত্যাদি পরিষেবা মাঝে-মধ্যে তাদের টাওয়ার চালু রাখতে সক্ষম হলেও ভারত সরকারের অধীনস্থ বিএসএনএল পরিষেবা মুথ থুবড়ে পড়েছে। মোবাইল হ্যান্ডসেট চার্জে যেমন বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি ইন্টারনেট পরিষেবাও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। যাদের বাড়িতে ইনভার্টার রয়েছে, তাঁরাও তাতে চার্জ দিতে পারছেন না। কেবল মোবাইল বা ইন্টারনেটই নয়, বিদ্যুতের অভাবে সংশ্লিষ্ট উৎস থেকে পানীয় জল উত্তোলন কিংবা তা সরবরাহ করতে পারছে না জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ। ফলে বৃহত্তর এলাকায় তীব্র পরিস্রুত পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের মরশুম। বিরোধীরা এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে বিঁধতে শুরু করে দিয়েছেন। বিরোধীদের বক্তব্য, পাথারকান্দির মানুষ অপরিশোধিত নোংরা জল পান করছেন। এতে এলাকায় নানা ধরনের জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নানা কাজকর্মও লাটে ওঠার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বিদ্যুতহীনতার কবলে পড়েছেন সংবাদকর্মীরাও। নিয়মিত তাঁরা সংবাদ পাঠাতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট দফতরে। কারোর সঙ্গে কোনও যোগাযোগই রাখতে পারছেন না সাংবাদিকরা।
এদিকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তার নিশ্চিত কোনও তথ্য দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক কিংবা কর্মচারীরা।