BRAKING NEWS

চকবাজারের ঘটনায় পালিত হল রাষ্ট্রীয় শোক

ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশের জন্য সোমবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। চকবাজারে মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গতকাল জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে কক্সবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনের ঘটনাকে অনাকাক্সিক্ষত উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছে, \”এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলা যায় না, এটি অবহেলা। এর দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে। একজন আরেকজনের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন, এটা ঠিক নয়।\”


এ ঘটনায় হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পুরোনো ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম, গ্যাস সিলিন্ডার অপসারণ এবং নিমতলীর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির ১৭ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে করা পৃথক তিনটি রিট আবেদনের শুনানির সময় সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেছে। রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কাউকে না কাউকে দায় নিতে হবে মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছে, \”আগুনে মানুষ পুড়ে মরে তাহলে সিটি করপোরেশন কী করে? শুধু আন্তরিক হলে হবে না। কাজ করতে হবে। নিমতলীর ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির যে সুপারিশ ছিল, সেগুলোর বাস্তবায়ন হলে চকবাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না। নিমতলীর আগুনের ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রী দুই বোনকে দত্তক নিয়েছিলেন।\” আদালত বলেছে, \”প্রধানমন্ত্রী নিজেই চকবাজারের ঘটনা তদারকি করছেন। উনি তো একা দেশ চালাতে পারবেন না। এই যে সুপারিশ, এগুলো তো বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্ব।\” আদালত আরও বলেছে, \”ওই সব এলাকার বাড়ির মালিকরা তিনগুণ বেশিতে গোডাউন ভাড়া দেন। আর নিজেরা থাকেন গুলশানে। মারা যায় গরিব মানুষ। সিটি করপোরেশন দেখেও না দেখার ভান করে। যারা রাস্তায় মারা গেল তাদের কী দোষ? সুপারিশ বাস্তবায়নের কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা বাস্তবায়ন করা তাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা জানি না তারা কোনও পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা। পদক্ষেপ না নিলে ধরে নিতে হবে তাদের অবহেলা ছিল। অন্যদিকে, পুরনো ঢাকার রাস্তা দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও যেতে পারে না। পাঁচ থেকে ছয় মাত্রার ভূমিকম্পে কিছু না হলেও সাত থেকে আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে কোনও ভবন থাকবে না। এ ধরনের ভূমিকম্প হলে কাউকে উদ্ধার করারও কেউ থাকবে না। একজন আরেকজনের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন এটা ঠিক না। আমাদের অর্থনীতিতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা দেশের ভাব মর্যাদা নষ্ট করে দিচ্ছে।\” উল্লেখ্য, নিমতলীর ঘটনার পর সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রাক্তন দুই শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়য়া ও আমির হোসেন আমু পরস্পরের ওপর দায় চাপিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *