নয়াদিল্লি, ১১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : সারদা চিটফান্ড মামলায় তাদের পুরনো রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সোমবার জানিয়ে দিল, সারদা কান্ডের তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে করা হবে না। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মামলার দায়িত্বে সিবিআই৷ ফলে তারা আর এই তদন্তে হস্তক্ষেপ করবে না৷২০১৫ সালে সারদা মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। সেই মামলায় সিবিআইকেই সারদা তদন্তের ভার দেয় শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সারদা দুর্নীতিতে প্রতারিতদের একাধিক আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় আদালতের নজরদারিতেই দুর্নীতির তদন্ত হবে। দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম বা গাফিলতি হচ্ছে বলে কেউ যদি মনে করে থাকলে তিনি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে যেতে পারেন।ওই রায়ের পর বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।
সম্প্রতি এনিয়ে ফের আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। ফের আবেদন করা হয়, আদালতের তদারকিতেই সারদা মামলার তদন্ত হোক। সেই আবেদন আবার আজ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ফলে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা সারদা মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মনিটরিং কমিটি গঠনের আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, তাঁরা মনিটরিং কমিটি গঠনে ইচ্ছুক নয়। তাঁরা চান, সিবিআই চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্ত করুক এবং নিয়মিত শীর্ষ আদালতকে আপডেট দিতে থাকুক।
সারদা দুর্নীতির তদন্তে কখনও তথ্য লোপাটের অভিযোগ উঠেছে, কখনও আবার তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে দাবি করা হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য সরকার গঠন করেছিল সিট। সেই সিটের প্রধান ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার।২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে রাজীব কুমার দিল্লিতে তৎকালীন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে চিঠি লিখে জানান, সারদাকাণ্ডে সিবিআইয়ের যে দল তদন্ত করছে সেটি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। পাশাপাশি সিবিআইয়ের অভিযোগ, সারদা তদন্তে তথ্য লোপাট করেছেন রাজীব কুমার। এনিয়ে তাঁকে তলবও করা হয়। তাতে হাজিরা না দেওয়া নিয়ে একপ্রস্থ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দড়ি টানাটানি হয়। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট মামলাও হয়। অভিযোগ, সিবিআইয়ের কাজে বাধা দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চিটফান্ড তদন্তে শনিবার থেকে শিলং-এ কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সারদা চিটফান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষকে। আজও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা।