নয়াদিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): শুক্রবার লোকসভায় রাফাল চুক্তিতে সমস্ত মিডিয়া রিপোর্টকে \”বৃথা চেষ্টা\” বলে খারিজ করার পাশাপাশি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে বহুজাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে বিরোধীরা হাত মিলিয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এর আগে লোকসভায় সীতারমনের ‘সুও মোটু’ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, রাফাল চুক্তিতে কিছু মেকানিজম অবলম্বন করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই ‘সুও মোটু’ বিবৃতি ফের কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীদের প্রতিবাদকে উস্কে দেয়।
বিরোধীদের বিরুদ্ধে এদিন সীতারমন অভিযোগ করেন, ভারতীয় বায়ুসেনার স্বার্থে কাজ না করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, একটি মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, মাল্টি-বিলিয়ন রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্য্যালয় ফ্রান্সের সঙ্গে সমান্তরাল আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। রাফাল চুক্তি নিয়ে তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহনের একটি নোট ওই রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসে, যাতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরের ওই বিশেষ নোটে জি মোহন কুমার তত্কালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিক্করকে জানান, ‘‘পিএমও এ ব্যাপারে আলাদা ভাবে ফরাসি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালানোয়, দর কষাকষিতে অসুবিধা হচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ভারতের মধ্যস্থতাকারী দলের।’’
এদিন লোকসভায় সেই মিডিয়া রিপোর্টটিকেই খারিজ করে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। নির্মলা সীতারমন এদিন জানান, \”এ ব্যাপারে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর একটি চিঠিতে আধিকারিকদের ‘শান্ত’ থাকার অনুরোধ করে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেকথা প্রকাশ হয়নি ওই মিডিয়া রিপোর্টে।\” এদিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, \”ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ তৎকালীন চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী নিয়মিত প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয় পরিচালনা করতেন।
সেটা কি হস্তক্ষেপ ছিল না?\” অন্যদিকে, ওই নোট নিয়ে জি মোহন কুমার বিরোধীদের অভিযোগকে অস্বীকার করে জানান, \”ওই নোটটি ছিল সার্বভৌম গ্যারান্টী এবং সাধারণ শর্তাবলী সম্পর্কিত, এর সঙ্গে যুদ্ধবিমানের দামের কোনও সম্পর্ক নেই।\” লোকসভায় এদিন প্রতিরক্ষা বিষয়ক পর্বে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, \”আমরা একটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটি চাই। তাহলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর কোনও ব্যাখ্যা চাই না। অনেক ব্যাখ্যা শুনেছি। এব্যাপারে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যাও শোনা হয়ে গিয়েছে।\”