পাঁচকুলা (হরিয়ানা), ৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): অ্যাসোসিয়েটড জার্নাল (এজেএল) জমি বন্টন কেলেঙ্কারি এবং মানেসার জমি দুর্নীতি মামলায় হরিয়ানার পাঁচকুলায় বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দিলেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা| শুধুমাত্র ভূপিন্দর সিং হুডাই নন, পৃথক জমি দুর্নীতি মামলায় বুধবার সকালে বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরা এবং অন্যান্য অভিযুক্তরাও| এদিন শুনানি শেষে মানেসার জমি দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি| পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েটড জার্নাল (এজেএল) জমি বন্টন কেলেঙ্কারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৫ মার্চ|
হরিয়ানার তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে কয়েক কোটি টাকার একটি জমি মাত্র ৫৯ লক্ষ টাকায় বেআইনি ভাবে পুনর্বণ্টন করেন তিনি| সেই সময় হরিয়ানা নগরোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন হুডা| সরকারি কোষাগারের বিপুল আর্থিক ক্ষত করে ওই জমি দান করা হয় বলেও অভিযোগ| পর্ষদের আধকারিকরা নিষেধ করলেও হুডা সেই সময় তাতে আমল দেননি বলেও অভিযোগ ওঠে| ভূপিন্দর সিং হুডার অধীনে থাকা হরিয়ানার নগরোন্নয়ন দফতর কীভাবে অ্যাসোসিয়েটড জার্নালকে জমি হস্তান্তর করল, সে বিষয়ে ২০১৬ সালে প্রথম এই মামলায় তদন্ত শুরু করে হরিয়ানার ভিজিল্যান্স ব্যুরো| এরপর ভিজিল্যান্স ব্যুরো কাছ থেকে জমি হস্তান্তরের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে চলে যায়| ২০১৬ সালে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই|
হুডার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়| সেই মামলাতেই ৱুধবার বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দিলেন ভূপিন্দর সিং হুডা, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরা এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা| সিবিআই-এর বক্তব্য, হরিয়ানার পাঁচকুলায় ২০০৫ সালে এই জমির রি-অ্যালোটমেন্ট করা বেআইনি ছিল| যদিও, এই জমি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে প্রথম দেওয়া হয় ১৯৮২ সালে| কিন্তু, জমি দানের শর্ত অনুযায়ী দীর্ঘদিন কোনও নির্মাণ কাজ না হওয়ার কারণে ১৯৯৬ সালে সেই জমি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়| পরবর্তী সময়ে হুডার হাত ধরে সেই জমি আবার ফিরে পায় অ্যাসোসিয়েটড জার্নাল| পাশাপাশি মানেসার জমি দুর্নীতি মামলায়ও অভিযুক্ত হুডা এবং মোতিলাল|