BRAKING NEWS

চাকলা রোশনাবাদ পুনরুদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী সাতকথা সমাজের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ ফেব্রুয়ারী৷৷ বাংলাদেশে অবস্থিত চাকলা রোশনাবাদের জমি ত্রিপুরায় পুনরুদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দাবী জানিয়ে চিঠি দিয়েছে সমাজ সংস্কারক সংগঠন রাষ্ট্রীয় সাতকথা সমাজ৷ সংগঠনের তরফ থেকে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেওয়া হয়৷
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চাকলা রোশনাবাদ বর্তমানে বাংলাদেশের মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিথ৷ চাকলা রোশনাবাদ মূলত ত্রিপুরার অংশ বলে দাবী রাষ্ট্রীয় সাতকথা সমাজের৷ পূর্বে এই ভূমিকে বলা হত সমতল ভূমি৷ বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য যখন ত্রিপুরার মহারাজা হন তখন এই সমতল ভূমির নাম হয় চাকলা রোশনাবাদ এবং হিল ত্রিপুরা৷ তখন ত্রিপুরা অবিভাজিত ছিল৷

রাজন্য আমলে ওই চাকলা রোশনাবাদের জনগণের কাছ থেকে আদায় করা করের টাকায় পার্বতী ত্রিপুরার উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা হত৷ ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর মহারানী কাঞ্চন প্রভা দেবী ত্রিপুরাকে ভারতভুক্তি করে৷
বর্তমানে এই চাকলা রোশনাবদকে ত্রিপুরার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সাতকথা সমাজ তৎপর হয়েছে৷ এর আগে এই বিষয়ে কোন ব্যক্তি, সংগঠন কিংবা সরকারও উদ্যোগ নেয়নি৷ সাতকথা সমাজ প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছে, ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় কার্যকর হয়৷ দুই দেশের বহু জমি বিনিময় হয়৷ চাকলা রোশনাবাদকেও তদরূপ পুনরুদ্ধারের জন্য সাতকথা সমাজ দাবী রাখছে৷


প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সাতকথা সমাজ উল্লেখ করেছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত রাজ্য সফরে এসেছিলেন ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর৷ সেই সময়ও বিষয়টি তাঁর সামনে তুলে ধরা হয়েছিল৷ সাতকথা সমাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে দাবী জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার৷ সেই সাথে সাতকথা সামাজ মনে করে চাকলা রোশনাবাদ পুনরুদ্ধার করা হেলই ত্রিপুরার মহারাজাদের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *