BRAKING NEWS

সিবিআই-র কাজে বাধা দানে আইপিএস আধিকারিকদের ভূমিকা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : সিবিআই আধিকারিকদের কাজে বাধা দানে আইপিএস আধিকারিকদের ভূমিকা কি ছিল, তা জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই ঘটনায় কোনও প্রকার বিধিভঙ্গ হয়েছে কিনা তা নিয়েও রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এমনকি সিবিআই আধিকারিকদের থানায় প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে আটক করে রাখা হয় বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি।

এমনকি সিজিও কম্পেক্সে এবং সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর বাসভবনও কয়েক ঘন্টার জন্য ঘিরে রাখার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আসাকে কেন্দ্র করে কার্যত কলকাতা পুলিশ ও সিবিআইয়ের ‘যুদ্ধ‘-এ উত্তপ্ত কলকাতা। অভিযোগ, আগাম অনুমতি না-নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের এই হানা দেওয়ায় তাদের বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। এরপর প্রথমে পার্ক স্ট্রিট থানা ও পরে শেক্সপিয়র সরণি থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা।


সারদাকাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার সিবিআই-এর নজরে রয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেই কারণে রাজীব কুমারের খোঁজ মিলছে না বলেও দাবি করা হয়েছিল এক প্রতিবেদনে। পুলিশ কমিশনারের পাশে দাঁড়িয়ে রবিবার তোপ দাগেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ আনেন তিনি। রবিবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজীব কুমার সংক্রান্ত খবরকে মিথ্যে বলে দাবি করা হয়। এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষ পুলিশকর্তা জাভেদ শামিম বলেন, সঠিক তথ্য পেশ না-করায় যদি কলকাতা পুলিশ বা কমিশনারের মানহানি করা হয়, তাহলে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *