BRAKING NEWS

নির্বাচনী স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু রাজনৈতিক দল যা খুশি করতে পারে, সিবিআই-কলকাতা পুলিশ দ্বৈরথ কাণ্ডে দাবি নীতীশ কুমারের

পাটনা, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : নির্বাচনী স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল যা খুশি করতে পারে। কলকাতা পুলিশ-সিবিআই দ্বৈরথ প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করে সোমবার এমনই দাবি করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।এদিন নিজের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতীশ কুমার বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে যতক্ষণ না পর্যন্ত আসন্ন আচরণবিধি কার্যকর না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনী স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল যা খুশি করতে পারে। কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নীতীশ কুমার বলেন, নির্বাচনী স্বার্থের জন্য এমন ধরণের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে আদর্শ আচরণ বিধি জারি হলে তা বন্ধ হয়ে যাবে। হয়তো মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই আচারণ বিধি জারি করা হবে। সারদা চিটফান্ড মামলার তদন্তের জন্য সিবিআই এবং কলকাতা পুলিশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সারদা চিটফান্ড মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বিচারাধীন বিষয়টি নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। সারদা কান্ডে যারা অভিযুক্ত তাদের নিজেদেরই কৈফিয়ৎ দিতে হবে।এনডিএ বিরোধীদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপড়ে ফেলতে তৎপর কেন্দ্র। বিরোধীদের এমন দাবি খন্ডন করেন নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, দেশজুড়ে উত্তেজনা এবং তিক্ততার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ধৈর্য সহকারে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। দেশের জন্য কেউ ভাবিত নয়। সবাই ভোটের জন্য উৎসাহী। কিন্তু আমাদের দেশ মহান। সমস্ত রকমের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম দেশ।


কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আসাকে কেন্দ্র করে কার্যত কলকাতা পুলিশ ও সিবিআইয়ের ‘যুদ্ধ’-এ উত্তপ্ত কলকাতা। অভিযোগ, আগাম অনুমতি না-নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের এই হানা দেওয়ায় তাদের বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। এরপর প্রথমে পার্ক স্ট্রিট থানা ও পরে শেক্সপিয়র সরণি থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা।সারদাকাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার সিবিআই-র নজরে রয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেই কারণে রাজীব কুমারের খোঁজ মিলছে না বলেও দাবি করা হয়েছিল এক প্রতিবেদনে। পুলিশ কমিশনারের পাশে দাঁড়িয়ে রবিবার তোপ দাগেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ আনেন তিনি। রবিবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজীব কুমার সংক্রান্ত খবরকে মিথ্যে বলে দাবি করা হয়। এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষ পুলিশকর্তা জাভেদ শামিম বলেন, সঠিক তথ্য পেশ না করায় যদি কলকাতা পুলিশ বা কমিশনারের মানহানি করা হয়, তাহলে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *