BRAKING NEWS

করিমগঞ্জের ভারত-বাংলা সীমান্তবর্তী বালিয়ার রেডক্রস হাসপাতালকে সচল করার দাবি

করিমগঞ্জ (অসম), ৭ জানুয়ারি, (হি.স.) : প্রায় আড়াই দশক ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী রেডক্রস সোসাইটির শাখা হাসপাতাল। এর জন্য বিভাগীয় চরম উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন সারা অসম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থা (আমসু)-র পদাধিকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিষেবা না থাকলেও নিয়মিত বছরের পর বছর ধরে পারিতোষিক পেয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে কর্মীরা। শীঘ্র হাসপাতালকে কর্মক্ষম করা না হলে আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দিয়েছেন মুসলিম ছাত্র সংস্থার কর্মকর্তারা।উত্তর করিমগঞ্জ বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত বালিয়ার দাসগ্রাম প্রথম খণ্ডে অবস্থিত সর্বভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির দাসগ্রাম শাখা পরিদর্শন করেছে সারা অসম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্হার করিমগঞ্জ জেলা কমিটি ও লঙ্গাই ভ্যা লি আঞ্চলিক কমিটির এক প্রতিনিধি দল।

ছাত্র সংস্থার জেলা সভাপতি আসাদ উদ্দিন লস্কর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন দুই সম্পাদক মওলানা লোকমান আহমেদ, ইকবাল হোসেন, লঙ্গাই ভ্যা লি আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি অলিদ হোসেন, সহ-সভাপতি মহম্মদ হোসেন তাপাদার, আলি আসকর, মওলানা আজির উদ্দিন, আব্দুল আহাদ, ফজির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মৌর উদ্দিন, ইমরান আহমেদ প্রমুখ।প্রতিনিধি দলটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁরা হাসাপাতালের ভগ্নদশা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, গোটা দেশের কোথাও এ রকম সরকার স্বীকৃত কোনও হাসপাতাল পরিত্যক্ত অবস্থায় নেই। তাঁদের অভিযোগ, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হাসপাতালটি গড়ে ওঠায় কি এমন অব্যস্থা। রাজ্যের বর্তমান সরকার এবং পূর্বতন সরকারকেই এ নিয়ে তরজা ঠুকেছেন ছাত্র নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, রেডক্রসের মতো অন্যতম খ্যাতনামা সোসাইটি পরিচালিত হাসপাতালটিতে পরিষেবার নামগন্ধ নেই।

শুধুমাত্র জড়াজীর্ণ স্থানীয় একটি ভবনই রয়েছে। হাসপাতালের উন্নয়ন পরিকাঠামোর প্রশ্ন ওঠে না।
প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনকালে হাসপাতালের চতুর্থশ্রেণির কর্মীর বক্তব্যে জানা গেছে হাসপাতালটিতে পাঁচজন ডাক্তার ও সহকারী রয়েছেন। এছাড়া তিনি-সহ মোট চারজন চতুর্থশ্রেণির কর্মীও আছেন। হাসপাতালে পরিষেবা না থাকলেও প্রত্যেক কর্মচারীই নিয়মিত পারিতোষিক পাচ্ছন বলে তথ্য পেয়েছেন আমসু নেতারা।আমসুর প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, কাগজেকলমে হাসপাতালে উন্নত পরিষেবা চলছে দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ, ওষুধপত্র, মেন্টেনেন্স-সহ যাবতীয় তহবিল তছরূপ করা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে নামেমাত্র হাসপাতাল থাকলেও সীমান্ত এলাকার মানুষ উন্নত পরিষেবার কোনও স্বপ্নই দেখেননি। পিছপড়া এলাকার গরিব জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা না দিয়ে কোটি কোটি টাকার নয়ছয় চলছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উত্থাপন করে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরাসরি রেডক্রস সোসাইটির কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আমসু-র জেলাস্তরের কর্মকর্তারা। শীঘ্রই দাসগ্রাম রেডক্রসের বেহাল অবস্থা দূরীকরণের পাশাপাশি সীমান্তবাসী জনগণকে পরিষেবা প্রদান করার দাবি তুলেন তাঁরা।
এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা রেজিয়া খানমও এদিন এক প্রতিক্রিয়ায় দাসগ্রাম রেডক্রস হাসপাতালটিকে শীঘ্রই পূর্ণ রূপ দিতে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *