নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৪ জানুয়ারি৷৷ মানব রক্ত তৈরি করা যায় না৷ কোন অসুস্থ ব্যক্তির প্রয়োজনে তাকে রক্ত দান করতে হয়৷ এই দানের মধ্য দিয়ে একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব৷ মনে রাখতে হবে রক্তদান মানে জীবন দান৷ আজ চড়িলাম ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণ চড়িলাম ৪ নং কলোনীতে এলাকার সার্বজনীন পরব অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে রক্তদান শিবির এবং সগীতানুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷ তিনি বলেন, এই ধরনের কর্মসূচিতে মা বোনদের সক্রিয় অংশগ্রহণ সমাজে এক ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেবে৷ মা বোনরা যেখানে সক্রিয় সেখানে সব কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়৷

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন বলেন, রক্তদানের মধ্য দিয়ে মানুষ দুইভাবে উপকৃত হবে৷ যে দান করে এবং যে দান গ্রহণ করে দুজনেই উপকৃত হয়ে থাকে৷ রক্তদানের মধ্য দিয়ে নিজেদের মূল্যবোধকে উপরে তুলে ধরা যায়৷ তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে মানুষ মানুষের জন্য৷ মানুষ্যত্বের ধবংস মানে মানব সভ্যতার ধবংস৷ রক্তদান কর্মসূচিকে সার্বজনীন করতে হলে এই ধরণের আরো আয়োজনের মধ্য দিয়ে মান্তুিনুষকে আরও বেশি করে জাগ্রত করতে হবে৷ পাশাপাশি সুস্থ সুন্দর সাংসৃকতিক বাতাবরণের মধ্য দিয়ে আমাদের নিজ নিজ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে৷ দক্ষিণ চড়িলামবাসীর উদ্যোেগে এবং বিশালগড় ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আঃেয়াজিত বিজয় পরব অনুষ্ঠানটি হয় দুটি পর্বে৷ প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছা রকতদান শিবির এবং দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ৷ দ্বিতীয় পর্বে বিকাল থেকে আয়োজিত হয় লোক সংগীতানুষ্ঠান৷ সূচনা পর্বে উপ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন৷
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার অতিরিরদ্ধক্ত জেলাশাসক শঙ্কর চক্রবর্তী, চড়িলাম ব্লকের বিডিও রিংকি সাহা, সিপাহীজলা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা চিন্তন দেববর্মা, বিশিষ্ট সমাজসেবী তাপস দাস, ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবাশিষ মজমদার এবং এলাকার অভিভাবক বিনোদ বিহারী ভৌমিক৷ রকতদান শিবিরে ৩১ জন রক্তদান করেন৷