নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জানুয়ারি ৷৷ মোহনপুর মহকুমার কৃষকদের কাছ থেকে আজ এফসিআই কর্তৃক সহায়কমূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু হয়েছে৷ এই প্রক্রিয়া চলবে ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ পর্যন্ত৷ তারাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহকুমার এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে এক সময় কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন৷ বর্তমান সরকার এফসিআই এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকরা লাভের মুখ দেকতে শুরু করেছেন৷
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী চাইছেন ২০২২ সালের মধ্যে দেশের কৃষকরা যেন দ্বিগুণ আয় করতে পারেন৷ আমাদের সরকারও কৃষকদের সেই পথে এগিয়ে নিতে চাইছে৷ তিনি বলেন, সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার ফলে বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ফলে কৃষকরা আর্থিক দিক দিলে লাভবান হচ্ছেন৷ শুধু ধান কেনাই নয়, এই ধান চালে পরিণত করে নায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে রাজ্যে জনসাধারণেড মধ্যে উন্নতমানের চাল সরবরাহ করা হবে৷ এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে রাজ্যে আরও আধুনিক মানের রাইস মিল বসানো হবে৷ মোহনপুরের তুলাবাগানে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে দৈনিক ৩ লক্ষ কেজি ধান ভাঙার ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক রাইল মিল বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান, মোহনপুর মহকুমার কৃষকদের কাছ থেকে এক হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার টার্গেট নেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই মোহনপুর মহকুমার ৭৮৭ জন কৃষক ৯১৫ মেট্রিকটন ধান বিক্রি করার লক্ষ্যে তাদের নাম নথিভূক্ত করছেন৷

তিনি আরও বলেন, মোহনপুর মহকুমার অন্তর্গত বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধান বিক্রির গাড়ি ভাড়া তারা বহন করবেন৷ অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেজামারা বিএসি এর চেয়ারম্যান সুশীল দেববর্মা, লেফুঙ্গা বিএসি এর চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা৷ মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মালতি দেবনাথ, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ভজন দাস, সমাজসেবী ধীরেন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ৷