নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর৷৷ এনসিটিই অনুমোদনই যথেষ্ট৷ ন্যাক কিংবা কিউসিআই অনুমোদন না থাকলেও ওই কলেজে মুখ্যমন্ত্রী বিএড অনুপ্রেরণা যোজনার অন্তর্গত বিএড কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে৷ ন্যাক কিংবা কিউসিআই অনুমোদনহীন কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য ছাড়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, গুণগত শিক্ষার প্রতি জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু, প্রয়োজনীয় শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না৷ কারণ, বিএড ডিগ্রি না থাকায় অনেক মেধাবি ছাত্রছাত্রী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে পারছেন না৷ তাই, রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী বিএড অনুপ্রেরণা যোজনা চালু করেছে৷ এই যোজনার অন্তর্গত ৫০০০ জনকে বিএড কোর্সে স্পন্সর দেওয়া হবে৷ তাতে, কোর্স করার জন্য জনপ্রতি ২ লক্ষ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হবে৷ শুধু তাই নয়, চার বছর পর্যন্ত ওই ঋণের সুদ বহন করবে রাজ্য সরকার৷
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ১৩৬০ জন প্রার্থী এই যোজনার অন্তর্গত বিএড কোর্স করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন৷ কিন্তু, তাঁদের মধ্যে তিনজন রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, ন্যাক কিংবা কিউসিআই অনুমোদন নেই এমন কলেজগুলিকেও কোর্সের জন্য বিবেচনা করা হোক৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, যোজনা অনুসারে বিএড ডিগ্রির জন্য ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজগুলির এনসিটিই অনুমোদন বাধ্যতামূলক৷ পাশাপাশি ন্যাক কিংবা কিউসিআই অনুমোদনও থাকতে হবে৷ কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে অনেক কলেজরই এনসিটিই অনুমোদন থাকলেও, ন্যাক কিংবা কিউসিআই অনুমোদন নেই৷ ফলে, যোজনা অনুসারে ওই কলেজগুলিতে কেউ ভর্তি হতে পারছেন না৷
এবিষয়ে শিক্ষা দপ্তর পর্যালোচনা করে দেখেছে, ন্যাক কিংবা কিউসিআই অনুমোদনে কলেজগুলিতে ছাড় দেওয়া যেতেই পারে৷ তবে, কলেজগুলির এনসিটিই অনুমোদন থাকতেই হবে৷ সে মোতাবেক মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিএড অনুপ্রেরণা যোজনায় ন্যাক কিংবা কিউসিআই অনুমোদনে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ মন্ত্রিসভা এই ছাড়ে সীলমোহর দিয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, এখন শুধু এনসিটিই অনুমোদন রয়েছে এমন কলেজগুলিতে বিএড ডিগ্রির জন্য ভর্তি হতে পারবেন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা৷ কলেজগুলির ন্যাক কিংবা কিউসিআই অনুমোদনের প্রয়োজন নেই৷ তিনি জানান, এই যোজনায় ১৩৬০ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১২৭৬ জন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বাঁকুড়াতে অবস্থিত কলেজে ভর্তি হবেন৷ ত্রিপুরায় ভর্তি হবেন ৭০ জন৷ এছাড়া পূর্বোত্তরের অন্যান্য রাজ্যে ১২ জন এবং উত্তরাখন্ডে ভর্তি হবেন ২ জন৷ তিনি আরো জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরির ৩৮১ জন, তপশিলী উপজাতির ২৯৯ জন, তপশিলী জাতির ৩৬০ জন, ওবিসি ৩১৩ জন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৭ জন রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৫৪৪ জন মেয়ে৷
2018-12-30