শ্রীনগর, ২৯ ডিসেম্বর (হি. স.) : কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক শৈত্যপ্রবাহ থেকে কিছুটা অব্যাহতি মিললেও শুক্রবার রাতে মরশুমের শীতলতম রাত কাটাল লাদাখ অঞ্চলের লেহ এবং কারগিল। শনিবার আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, কোকেরনাগ ছাড়া উপত্যকার একাধিক অঞ্চলে শুক্রবার রাতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়ে। যদিও লাদাখ অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে হিমাঙ্কের অনেক নিচে নেমে যায়। শুক্রবার রাতে লেহর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১৭.৫ ডিগ্রি এবং কারগিলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়।
আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে কমপক্ষে তিন দশকের মধ্যে ডিসেম্বরের শীতলতম রাত ছিল বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার রাতে সর্বনিম্ন মাইনাস ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শুক্রবার রাতে শ্রীনগরের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে মাইনাস ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। তিনি আরও জানান, মরশুমের এই সময় শ্রীনগর শহরের রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রিরও কম রয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরে উপত্যকার গেটওয়ে কাজিগুণ্ডের তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার রাতে সর্বনিম্ন মাইনাস ৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সামান্য বেড়ে শুক্রবার রাতে মাইনাস ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারায় শুক্রবার রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার অন্যতম একটি বেস ক্যাম্প পেহলগাঁওয়ের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন মাইনাস ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার রাতে পেহলগাঁওয়ের তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন মাইনাস ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর কাশ্মীরের গুলমার্গের স্কি-রিসর্টে বৃহস্পতিবার রাতে মাইনাস ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে দু-ডিগ্রি বেড়ে শুক্রবার রাতে তাপমাত্রা পৌঁছায় মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের একমাত্র কোকেরনাগে তাপমাত্রা কমেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে লাদাখ অঞ্চলের লেহতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে শুক্রবার রাতে সর্বনিম্ন মাইনাস ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। লাদাখ অঞ্চলের লেহ এবং কারগিলে শুক্রবার ছিল মরশুমের শীতলতম রাত। কারগিলের তাপমাত্রা কমে মাইনাস ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ধারাবাহিক শৈত্যপ্রবাহের জেরে জমে বরফ হয়ে গেছে বিখ্যাত ডাল লেক। উপত্যকার একাধিক শহর ও শহরতলীর অধিকাংশ এলাকাতে জলের পাইপলাইনে বরফ জমে গিয়েছে। রবিবার উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে এবং আগামী সপ্তাহে রাজ্যজুড়ে হালকা বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াদফতর। শৈত্যপ্রবাহের জেরে বিপর্যস্ত রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন।