বগিবিল (অসম), ২৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী করে ২১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতির উদ্দেশ্যে তিনি উদ্বোধন করেছেন ৪.৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতের সর্ববৃহৎ এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ বগিবিল রেল তথা যান সেতু। এরমধ্য দিয়ে ব্ৰহ্মপুত্ৰের উত্তর এবং দক্ষিণপার সংযুক্ত হল। সেতুর দক্ষিণ পাড়ে লাল ফিতা কেটে সেতুর উদ্বোধন করে তার উপর দিয়ে বিশেষ খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আচমকা গাড়ি থেকে নেমে সেতুর নীচে আপেক্ষমান লক্ষাধিক জনতাকে কখনও হাত নেড়ে, কখনও অসমিয়া গামোছা তুলে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজস্ব ভঙ্গিতে দ্রুত হেঁটে এগিয়ে চলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যপাল অধ্যাপক জগদীশ মুখি, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রী ড: জীতেন্দ্র সিং, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহাঁই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু প্রমুখ রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ আরও অনেক। তাঁকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যার্থনা জানিয়েছেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী।
প্রায় পৌনে দুটো নাগাদ ডিব্ৰুগড়ের মোহনবাড়ি বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর তিনটি হেলিকপ্টারে করে এসে বগিবিল সংলগ্ন দক্ষিণ পাড়ে নির্মিত অস্থায়ী হেলিপ্যাডে। এখানে তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি হেলিপ্যাড। হেলিপ্যাড থেকে পায়ে হেঁটে গিয়ে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফিতা কাটেন বগিবিল সেতুর। এর পর এই সেতুর ওপর চলমান তিনসুকিয়া-নাহরলগুন এক্সপ্রেসের শুভ সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর পার্শ্ববর্তী কারেং চাপরির জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
2018-12-25