নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর (হি.স.): শিখ-বিরোধী দাঙ্গার (১৯৮৪)-র একটি মামলায় ইতিমধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার| ২০০৫ সালে নানাবতী কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা রুজু করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)| শিখ-বিরোধী হিংসার দ্বিতীয় মামলার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন সজ্জন কুমার| কিন্তু, সজ্জন কুমারের প্রধান আইনজীবী অনিল শর্মা এদিন আদালতে গরহাজির ছিলেন| তাই আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে সজ্জনের বিরুদ্ধে শিখ-বিরোধী দাঙ্গার দ্বিতীয় মামলার শুনানি|
উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী হিংসায় প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে দোষীসাব্যস্ত করেছে দিল্লি হাইকোর্ট| সজ্জন কুমারকে ওই দিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়| পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে সজ্জন কুমারকে| ২০০৫ সালে নানাবতী কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা রুজু করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)| বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে| কিন্তু, সজ্জনের প্রধান আইনজীবী অনিল শর্মা এদিন আদালতে না আসায় আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে শিখ-বিরোধী দাঙ্গার দ্বিতীয় মামলার শুনানি|
উল্লেখ্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর দিল্লি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল শিখ-হত্যা| ২০০৫ সালে নানাবতী কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে মামলার পুর্নতদন্ত শুরু করে সিবিআই| গত ১৬ নভেম্বর শুনানি চলাকালীন চ্যাম কৌর নামে এক সাক্ষী আদালতে জানান, ১৯৮৪ সালে দাঙ্গার সময়ে দিল্লির সুলতানপুরী এলাকায় কি ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছিলেন সজ্জন| সেখানে সজ্জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার জন্য শিখদেরই দায়ী করেছিলেন বলে জানান ওই সাক্ষী| সজ্জনের শিখ-বিরোধী ভাষণের পরই দুই ব্যক্তিকে গুলি করে মারা হয় বলেও জানান তিনি|