নয়াদিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : শিখ বিরোধী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে কংগ্রেস নেতা কমল নাথ-র বিরুদ্ধে৷ সোমবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি৷ এমন ব্যক্তিকে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পদে বসানোয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তোপ দাগল বিজেপি৷ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে তাঁর ইস্তফারও দাবি তুলেছে গেরুয়া শিবির৷ প্রসঙ্গত, এদিনই শিখ বিরোধী সংঘর্ষে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার৷
বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এদিন বলেন, ‘‘নানাবতী কমিশনের কাছে একটি হলফনামা ও কিছু প্রমাণ জমা করা হয়৷ যেখানে শিখ বিরোধী সংঘর্ষে কমলনাথের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল৷ এমন এক ব্যক্তিকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত৷ অথচ তাঁকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করা হল৷ রাহুল গান্ধীর উচিত কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার৷’’
এনডিএ যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ৮৪’র শিখ গণহত্যার তদন্তে নানাবতী কমিশন গঠন করেন৷ সু্প্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি করেন সেই গণহত্যার তদন্ত৷ কমলনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাকাবগঞ্জ গুরুদ্বারাতে দুই শিখ যুবককে যখন জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তিনি৷ সঞ্জয় সুরি নামে এক সাংবাদিক নানাবতী কমিশনের কাছে হলফনামায় জানিয়েছিলেন, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর ১ নভেম্বর তিনি রাকাবগঞ্জ সাহিব গুরুদ্বারাতে গিয়েছিলেন খবর সংগ্রহ করতে৷ সেই সময় তিনি দেখেন উন্মত্ত ‘রক্ত পিপাসু’ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন কমলনাথ৷ তবে কমিশন এই গণহত্যার অভিযোগ থেকে কমলনাথকে রেহাই দেয়৷ কারণ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে জোরাল কোনও প্রমাণ যাওয়া যায়নি৷
অপরদিকে কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবিতে দিল্লির এক বিজেপি নেতা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনের ঘোষণা করেছেন৷ তেজিন্দর পাল বগ্গা পশ্চিম দিল্লির তিলক নগর এলাকা থেকে শুরু করেছেন অনশন৷ ৮৪’র সংঘর্ষে এই এলাকায় বহু শিখ পরিবারের জীবন বিপন্ন হয়েছিল৷