নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ডিসেম্বর৷৷ আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকারকে হাডকো অথবা এলআইসি থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তিনি আরও বলেন, পূর্বতন সরকার কোনও পরিকল্পনা ছাড়া উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান ছাড়াই একের পর এক কাজের ঘোষণা দিয়েছে৷ দেখা গেছে বিগত সরকার শুধুমাত্র বিল্ডিং নির্মাণের জন্য পূর্ত দপ্তর ছাড়া সরকারের ২১টি দপ্তরের ২৩১টি প্রজেক্টের কাজের অনুমোদন দিয়েছে৷ এছাড়া পূর্ত দপ্তরের ১২টি বিল্ডিং নির্মাণ কাজের অনমোদন দিয়েছে৷ এই কাজগুলির জন্য মোট প্রয়োজন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা৷ বর্তমানে টাকার অভাবে এই কাজগুলি প্রায় অর্ধ সমাপ্ত হয়ে রয়েছে৷ ২১টি দপ্তরের ও পূর্ত দপ্তরের বিল্ডিং নির্মীাণ কাজের জন্য সরকার এই মুহূর্তে ঠিকাদরদের মোট ৪২১ কোটি ১ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে৷ পূর্বতন সরকারের এই অর্ধ সমাপ্ত কাজগুলি পুনরায় চালু করার উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকারকে হাডকো অথবা এলআইসি থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা৷ এছাড়াও নিতি আয়োগ থেকে ৩৫৮
কোটি টাকা পাওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ৷
এদিকে, একটি সরকারী তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে ৩১শে আগষ্ট ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত ঠিকাদারদের বকেয়া বিলের মোট পরিমান ৪৭২৪৭৭৭ লক্ষ টাকা৷ এছাড়া পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পে ঠিকাদারদের বকেয়া বিলের মোট পরিমাণ ৪৫৮০২৮ লক্ষ টাকা৷ অন্যদিকে ৩১ আগষ্ট ২০১৮ পর্যন্ত ঠিকাদারদের বেকায় বিলের পরিপ্রেক্ষিতে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৮২৯৮৬১ লক্ষ টাকা৷ এছাড়া পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পে ঠিকাদারদের বেকায়া বিলের পরিপ্রেক্ষিতে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪৪৩৯৭৮ লক্ষ টাকা৷
যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে, উন্নয়নমূলক কাজকর্ম সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে৷ বিভিন্ন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দিল্লী সফরে গিয়ে দফায় দফায় এক ডজনের বেশী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিদের সাথে সাক্ষাৎ করে আর্থিক বরাদ্দ চেয়েছেন৷ এমনকি মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে কেন্দ্র নাকি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করবে বলে আশ্বস্থ করা হয়েছে৷ কিন্তু, প্রশ্ণ হল আট মাসের বেশী সময় হয়ে গিয়েছে নতুন জোট সরকারের, কেন এখনো রাজ্যের মধ্যে অঘোষিত আর্থিক যে মন্দা চলছে তা কাটিয়ে উঠতে পারছে না জনগণ৷ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির সামনে প্রতিটি দিন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল দাবি করছে৷ অবিলেম্ব রাজ্যের এই আর্থিক সংকটের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ প্রয়োজন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবী উঠেছে৷
2018-12-07

