৷৷ সন্দীপ বিশ্বাস ৷৷ বেঙ্গালুরু, ৬ ডিসেম্বর৷৷ আনারস ও কাঁঠাল দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ব্যাঙ্গালুরুস্থিত আইসিএআর’র ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অব হর্টিকালচার এন্ড রিসার্স৷ দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র গঠন এবং পণ্য পেকেটজাত করার ক্ষেত্রে আর্থিক ও পরিকাঠামো তৈরিতে সহায়তা দেবে এই সংস্থা৷ সংস্থার অধিকর্তা ড প্রকাশ প্যাটেলের কথায়, ত্রিপুরায় উৎপাদিত আনারস এবং কাঠালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জাতীয় এবং আন্তজার্তিক বাজারে৷ তাই, পিপিপি মডেলে এই প্রকল্পে কাজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ত্রিপুরা সরকারের কাছে৷ খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন৷
আনারস ও কাঠাল ত্রিপুরায় প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হচ্ছে৷ ফলে, এই দুই পণ্য নিয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজার দখল করার চেষ্টা চলছে৷ ত্রিপুরা সরকার ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ আইসিএআর’র ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অব হর্টিকালচার এন্ড রিসার্স এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ সংস্থা চাইছে, এই দুই পণ্যকে ঘিরে বিরাট বাজার তৈরি হোক৷ ত্রিপুরায় উৎপাদিত এই দুই পণ্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে
দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পরিকাঠামো গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ তাতে, এই দুই পণ্যকে সহজেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে৷ এই উদ্যোগ ত্রিপুরার চাষিদের আর্থিক ভাবে উন্নয়নের বিরাট ভূমিকা নেবে৷
ব্যাঙ্গালুরু সফররত ত্রিপুরার সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় ওই সংস্থার অধিকর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় এই দুই পণ্যের বাণিজিকিকরণে জনৈক ব্যবসায়ী এগিয়ে এসেছেন৷ তাই আমরা আরও বেশি উৎসাহিত হয়েছি৷ তাঁর কথায়, আনারস ও কাঁঠালের প্যাকেটজাতকরণে পরিকাঠামোগত সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত৷ শুধু তাই নয়, দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র গঠন করে এই দুই পণ্যের বাণিজিকিকরণে পদক্ষেপে অনেকটাই এগিয়েছি আমরা৷
ড প্যাটেলের বক্তব্য, ত্রিপুরায় লেম্বুছড়াস্থিত আইসিএআর এবং কৃষি বিকাশ কেন্দ্র চাইছে যৌথ ভাবে একটি ইউনিট গঠন হোক৷ এই ইউনিট গঠনের জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে৷ মূলত, পিপিপি মডেলে এই প্রকল্পের কাজ করা হবে৷ তাতে, ত্রিপুরা সরকার ও আইসিএআর এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী যৌথভাবে কাজ করবে৷
ড প্যাটেলের দাবি, লঘু উদ্যোগপতি আনারস এবং কাঁঠাল নিয়ে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ তাই, এই প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব ত্রিপুরা সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তিন বা চার মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে৷ তাতে, ত্রিপুরার আনারস ও কাঁঠাল চাষীরা ভীষন উপকৃত হবেন৷ তাঁর কথায়, এই প্রকল্প শুরু হতেই ত্রিপুরায় চাষীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আনারস ও কাঁঠাল ক্রয় করা হবে৷ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এই দুই পণ্য পৌছে দেওয়ায় ক্ষেত্রে পরিবহনগত কোন সমস্যা থাকবে না বলে তিনি দাবি করেন৷ কারণ, তখন ভারত সরকার এবং ত্রিপুরা সরকার যৌথ ভাবে ওই দুই পণ্য রাজ্যের বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে ভূমিকা নেবে৷ তাঁর বক্তব্য, দেশের একটি প্রান্তিক অংশে ত্রিপুরা অবস্থিত হওয়ায় পণ্য পরিবহনে নানাহ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় রপ্তানিকারকদের৷ পিপিপি মডেলে এই প্রকল্প শুরু হলে পণ্য পরিবহনে যে ধরনের বাধা তৈরি হয় তা কাটিয়ে তোলা সহজেই সম্ভব হবে৷ প্রয়োজনে বিশেষ পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ত্রিপুরায় উৎপাদিত আনারস ও কাঠাল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পৌছে দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়া হবে৷
2018-12-07

