শ্রীনগর, ৫ নভেম্বর (হি.স.): মরশুমের প্রথম ও সময়ের আগেই ভারী তুষারপাতের জেরে অন্ধকারাছন্ন কাশ্মীরের উপত্যকা। পাশাপাশি সাদা বরফে ঢাকা উপত্যকায় প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আপেল বাগানও। এই বিষয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে প্রশাসনের উদাসীনতা। কাশ্মীরের উচ্চ পাহাড়ি এলাকায় এক থেকে দুই ফুট পুরু বরফে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সব আপেল বাগান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুলগাম এবং সোপিয়ানের আপেল বাগানগুলি। গত শনিবারের প্রবল তুষারপাতে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে রবিবারের মধ্যে পরিষেবা পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দেওয়া হলেও, অঞ্চলের বড় হাসপাতালগুলি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার। জেলা প্রশাসক আবিদ রশীদ শাহ জানিয়েছেন, স্বাভাবিক ৩৮০ মেগাওয়াটের জায়গায় শ্রীনগরে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে এবং আঞ্চলিক যে সব ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরফের জেরে তাও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সপ্তাহখানেক আগেই প্রবল তুষারপাত হওয়ায় অধিকাংশ ফলসমৃদ্ধ গাছের পাতায় পুরু বরফ জমে যায়। ত্রালের বাসিন্দা আব্দুল রশিদ জানান, এবছর ৫০ কানালেরও বেশি আপেল হয়েছিল। কিন্তু, ভারী তুষারপাতে অধিকাংশ গাছই ভেঙে পড়ে। উদ্যানপালন আধিকারিক জানিয়েছেন, জমির রিপোর্ট পেলেই বড় ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হবে। উল্লেখ্যনীয়, শনিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় প্রবল তুষারপাত ও ভূমিধসে শাবিনা কৌসর নামে নয় বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় রবিবার। একটি যাযাবর পরিবারের ওই শিশুকন্যার মৃত্যুর পাশাপাশি ভূমিধসে তাঁবু চাপা পরে আহত হয়েছেন মৃতের পরিবারেরই আরও তিনজন।