সিবিআই’র অন্তর্কলহ, বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের মিছিল ও ধর্ণা, দিল্লীতে প্রতীকী গ্রেপ্তার রাহুল গান্ধী

৷৷ অভিজিৎ রায় চৌধুরী৷৷

নয়াদিল্লি, ২৬  অক্টোবর ৷৷  সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর অর্ন্তকলহ সামাল দিতে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবে, এহেন নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের কারণে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক৷ বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ণ উঠতে শুরু  করেছে৷ এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামল কংগ্রেস৷ সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার অপসারণের প্রতিবাদে  দয়াল সিং কলেজ থেকে মিছিলে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি৷ মিছিলে অংশ নেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা, সিপিআই নেতা ডি রাজা এবং শারদ যাদব প্রমুখ৷ তৃণমূলও প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে৷ তবে দিল্লিতে রাহুলের নেতৃত্বে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ৷ কেন্দ্রে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি৷ সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার অপসারণের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ৷ শুক্রবার সকালে সিবিআই সদর দপ্তর থেকে ৫০০ মিটার দূরে কংগ্রেসের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ৷ পরে লোধি রোড পুলিশ থানায় গিয়ে প্রতীকী গ্রেপ্তার বরণ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি৷ কংগ্রেস সভাপতির মতই প্রতীকী গ্রেপ্তার বরণ করেন অশোক গেহলট, প্রমোদ তিওয়ারি এবং আহমেদ প্যাটেল৷ এদিন ট্যুইট করে কংগ্রেস সভাপতির গ্রেপ্তারের খবর দেন দলীয় নেতা রণদীপ সুরযেওয়ালা৷ তিনি লেখেন, সিবিআই সদর দপ্তরের বাইরে রাহুল গান্ধি সহ যেসব কংগ্রেস নেতারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

দিল্লির পাশাপাশি গোটা দেশ জুড়েই প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করল কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা৷ উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউ, বিহারের রাজধানী পাটনা, কর্ণাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরু, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার রাজধানী চণ্ডীগড় সর্বত্রই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস নেতা -কর্মীরা৷ লখনউয়ে সিবিআই দপ্তরের সামনে কংগ্রেস নেতা রাজ বববরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ চণ্ডীগড়ে কংগ্রেসের মিছিলে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ৷ সিবিআই-এর গৃহযুদ্ধ সামাল দিতে গত বুধবারই সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং সিবিআই এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা-সহ বেশ কয়েকজন অফিসারকে ছুটিতে পাঠানো হয় মোদি সরকারের এহেন নজিরবিহীন সিদ্ধাঙ্গন্তের কারণে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক৷ এক যোগে সমালোচনায় সরব প্রতিটি রাজনৈতিক দল৷

সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) -এর অর্ন্তকলহ সামাল দিতে গত বুধবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ জরুরিকালীন ভিত্তিতে সিবিআই এর অন্তবর্তীকালীন ডিরেক্টর নিয়োগ করা হয় এম নাগেশ্বর রাওকে৷ পাশাপাশি ছুটিতে পাঠানো হ য় সিবিআই ডিরেক্টর আলোক বর্মা এবং সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে৷ ছুটিতে পাঠানোর সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘নির্বাসিত’ সিবিআই ডিরেক্টর আলোক বার্মা৷ বর্মার অপসারণ মামলার শুনানিতে শুক্রবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়েছেন, আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানী পর্যন্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না সিবিআই-এর ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও৷