BRAKING NEWS

মহাত্মা গান্ধীর দর্শনে গোটা বিশ্ব অনুপ্রাণিত, মন কি বাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : মহাত্মা গান্ধীর দর্শনে গোটা বিশ্ব অনুপ্রাণিত হয়েছে। ড. মার্টিন লুথার কিং এবং নেলসন মেন্ডেলা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা গান্ধীজির আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণের সমানাধিকার এবং আত্মমর্যাদাবোধের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামে রত হয়েছিলেন। রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানের ৪৮তম সংস্করণে এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামী সপ্তাহের ২রা অক্টোবর গোটা দেশজুড়ে শ্রদ্ধা সঙ্গে পলিত হতে চলেছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী। তার আগে মন কি বাত অনুষ্ঠানে জাতির জনককে স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছরের ২রা অক্টোবরের গুরুত্ব অন্যান্য বছরগুলির থেকে অনেক বেশি। আগামী দুই বছর ধরে মহাত্মা গান্ধীর সার্দ্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে গোটা বিশ্বজুড়ে একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। গোটা বিশ্ব তাঁর আদর্শ ও দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়েছে। নিজের বক্তব্যে মহাত্মা গান্ধীর উদ্ধৃতি টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের একটি মন্ত্র দিয়ে যেতে চাই। যখনই তুমি সংশয়ে পড়বে বা যখন তোমার আত্মসর্বস্ব ভাব তোমার ব্যক্তিত্বকে গ্রাস করবে তখন তুমি এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারো। সেই সময় তুমি মনে মনে সমাজের দারিদ্রতম বা দুর্বলতম ব্যক্তির মুখটা মনে করার চেষ্টা করো। এবং তুমি নিজেকে প্রশ্ন করো যে কি উপায়ে তুমি তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারো। তোমার এই পাশে দাঁড়ানোর ফলে সে কি তার জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে পারবে! তোমার একটা পদক্ষেপ কয়েক লক্ষ মানুষকে স্বরাজ পেতে সাহায্য করবে। সেই মানুষ যাদের পেটে খিদে নেই। তখন তুমি দেখবে যে তোমার সংশয়গুলি সব ঘুচে গিয়েছে। আর তোমার আত্মসর্বস্ব মনোভাব মুছে গিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যবিত্তের ব্যপ্তি বেড়েই চলেছে। তার আর্থিক এবং ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শপিংয়ে যাওয়ার সময় বাপুর সেই আদর্শকে একবার মনে মনে ভেবে দেখো। বাপুর সেই মন্ত্রটা একবার আওড়ে দেখো। জিনিস কেনার সময় একবার ভেবে দেখবেন এই পণ্যটি কেনার ফলে কে লাভবান হবে। আমার কেনা কোনও পণ্যের ফলে দরিদ্র মানুষ যদি খুশি হয় তবে সেটাই আমার জীবনের সার্থকতা। এই মন্ত্রটা মাথায় রেখেই গান্ধীজির সার্দ্ধশতবর্ষ জন্মজয়ন্তীতে কেনাকাটা করবেন। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের কেনা পণ্যের ফলে আমাদের দেশবাসীর কায়িকশ্রম এবং দক্ষতা লাভবান হোক। গান্ধীজির এই আদর্শ, তাঁর বার্তাকে আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি। আমাদের ছোট একটা পদক্ষেপ সমাজে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনে দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *