বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে খুন এডি নগরে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ সেপ্ঢেম্বর৷৷ আবারও খুন৷ একের পর এক খুনের ঘটনায় রাজধানী আগরতলা শহরের আইন শৃঙ্খলা প্রশ্ণের মুখে৷

নিহত বিশাল মালাকারের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন৷ ছবি নিজস্ব৷

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এডি নগরে এক যুবককে খুন করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয় খুনের পর মৃতদেহ গাছের ডালে ফাসিতে ঝুলিয়ে রেখে দেয় আততায়ীরা৷ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে৷ শনিবার সাতসকালে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷

সংবাদে প্রকাশ, শহরের এডি নগর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মালাকার৷ তাঁর ছেলে বিশাল মালাকার৷ বয়স আনুমানিক আঠারো৷ শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ বিশালের মোবাইলে একটি কল আসে৷ সাথেই সাথেই বিশাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়৷ দীর্ঘ সময় সে বাড়িতে ফিরেনি৷ ঘন্টা দুয়েক পর বিশাল বাড়িতে মোবাইলে কল করে জানায় তার এক বন্ধুর মা অসুস্থ, আইজিএম হাসপাতালে ভর্তি আছে৷ সে ঐ বন্ধুর সাথে রাতে হাসপাতালে থাকবে৷ এই কথা বলেই মোবাইলের কল কেটে দেয়ে৷ পরিবারের লোকজন ভেবেছে হয়তো বা হাসপাতালে বন্ধুর সাথে রয়েছে৷

এদিকে, শনিবার সকালে বিশালের মা ও বাড়ির অন্যরা রাস্তায় বেরিয়ে আসতেই কয়েকজন লোক জানায় বিশালের মৃতদেহ রাস্তার পাশে একটি গাছের ডালে ঝুলে আছে৷ এই কথা শোনেই মা ও অন্যান্যদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে৷ তাঁরা সাথে সাথেই তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ গিয়ে দেখেন বিশালের মৃতদেহ একটি গাছের ডালে বেঁধে রাখা হয়েছে৷ এই দৃশ্য দেখে এডি নগরের সূর্য্যপাড়ার আকাশ বাতাসে আর্তনাদ সাতসকালে৷ খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকার শতাধিক লোক ঘটনাস্থলে জড়ো হয়৷ খবর দেওয়া হয় এডি নগর থানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং মৃতদেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে৷

এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিশালের মৃতদেহ যেভাবে গাছে বাঁধা ছিল তাতে স্পষ্ট যে অন্য কোথাও তাকে খুন করে মৃতদেহ গাছের ডালে বিভৎস ভাবে বেধে রেখেছে আততায়ীরা৷ বিশালের  পা মাটির সাথে লাগানো৷ ঘারের দিকে নাইলনের দড়ি দিয়ে বেধে গাছের ডালে ঝুলানো হয়েছে৷ পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান অন্য কোথাও খুন করে এখানে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে৷ পুলিশ একটি হত্যা মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ পরিবারের লোকজনের বক্তব্যও শোনেছে পুলিশ৷ সেই মোতাবেক পুলিশ বিশালের মোবাইল ফোনটির সন্ধান করছে৷ মোবাইল ফোনটি হাতে পেলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে শুক্রবার রাতে তার কোন বন্ধু কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়েছিল৷ পুলিশ তিনজনকে সেন্দহভাজ হিসেবে চিহ্ণিত করে জেরা করছে৷

তবে, এই হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ প্রশ্ণ উঠেছে রাজধানী আগরতলা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ঝুকির মধ্যে রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *