নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্য আর্থিক সংকটে রয়েছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি৷ কিন্তু, দীর্ঘ সময় ধরে ঠিকেদারদের বিল বকেয়া রয়েছে৷ সূত্রে খবর, পূর্ত দপ্তরের অধীন ঠিকেদাররা রাজ্য সরকারের কাছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছেন৷ তার মধ্যে শুধু বিভিন্ন সংস্কার কাজের বকেয়া বিলের অর্থরাশির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা৷ তাছাড়া, সিকিউরিটি বাবদ জমা দেওয়া ২০০ কোটি টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ঠিকেদাররা৷ ফলে, বুধবার পূর্ত দপ্তরে বকেয়া বিল মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়ার মনস্ত করেছে ঠিকেদারদের সংগঠন৷
সূত্রের খবর, গত বছর দুর্গোৎসবের পর থেকে ঠিকেদাররা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বকেয়া খুব একটা আদায় করতে পারেন নি৷ পূর্বতন সরকারের আমলে ছয় মাস ভোট অন একাউন্ট এবং নির্বাচনের কারণে বকেয়া পাননি ঠিকেদাররা৷ বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার গঠিত হওয়ার পরও পূর্ত দপ্তর ঠিকেদারদের সমস্ত বকেয়া বিল মিটিয়ে দেয়নি৷ ফলে, প্রচুর টাকা রাজ্য সরকারের কাছে পাওনা ঠিকেদাররা৷
সূত্রে আরও দাবি, ৫০০ কোটির অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা সিকিউরিটি বাবদ জমা দেওয়া হলেও সেই টাকা ঠিকেদাররা ফেরত পাচ্ছেন না৷ নিয়মানুযায়ী সিকিউরিটি বাবদ জমা টাকা তিন বছরের মধ্যে আদায় না করা হলে সেই টাকা তামাদি হিসেবে গন্য হয়৷ কিন্তু, পূর্বতন সরকারের আমলে ওই টাকা ফেরত না দেওয়ায় এখন সমস্যায় পড়েছেন ঠিকেদাররা৷ কারণ, ট্রেজারি সেই টাকা আটকে দিয়েছে৷
রাজ্যে বর্তমানে ঠিকেদারি কাজের সাথে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছেন৷ সময়মতো বকেয়া বিল আদায় না হওয়ায় তারা মহা সমস্যায় পড়েছেন৷ রাজ্যের ঠিকেদারদের মধ্যে অন্তত ৯০ শতাংশ ঠিকেদার ঋণ নিয়ে কাজ করে থাকেন৷ ফলে, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বকেয়া বিল আদায় করতে না পেরে তারা এখন ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না৷
এদিকে, ঠিকেদারদের বকেয়া বিল কেন মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে না রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে কিছুই জানানো হচ্ছে না৷ ফলে, ঠিকেদাররা টাকার অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন৷