নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব
কুমার দেব আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাাউড়া-আগরতলা রেল যোগাযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সূচনা করেন৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত সকলেই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আখাউড়া- আগরতলা রেল যোগাযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দুই দেশের মধ্যে ক্রস বর্ডার সম্পর্ক স্থাপন হবে৷ এই প্রকল্পে সহযোগিতা করার জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বহু বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে তা আজ পরিপক্কতা লাভ করেছে৷ আমরা বিশ্বাস করি আমাদের এই সুসম্পর্ক বিশ্বর অন্যান্য অংশের জন্য রোল মডেল হিসাবে গণ্য হবে৷ আমাদের এই সুসম্পর্কের ফলে দুই দেশের জনগণই লাভবান হচ্ছেন৷ রেলওয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও আমাদের দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আখাউড়া- আগরতলা রেল যোগাযোগ প্রকল্পের সূচনার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ ভাবে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আখাউড়া রেল যোগাযোগ প্রকল্পের এই ঐতিহাসিক মুহুর্তে ভারত ও বাংলাদেশের সকল জনগণকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন৷ আখাউড়া – আগরতলা রেল যোগযোগে প্রকল্পের কাজ খুব কম সময়ের মধ্যে রূপায়িত করার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুকাল ধরেই সাংসৃকতিক, সামাজিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীজি উত্তর পূর্বাঞ্চলকে অষ্টলক্ষ্মী বানানোর যে স্বপ্ণ দেখেছেন তা এই প্রকল্পের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হবে৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগরতলা- কলকাতার মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে তা এক তৃতীয়াংশ কমে যাবে৷ বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে আখাউড়া বর্ডারের মাধ্যমে যে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে তা ডেস্টিনেশন টু ডেস্টিনেশন চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এতে উভয় দেশের পণ্যবাহী ট্রাকগুলি পণ্য লোডিং- আনলোডিং করার ক্ষেত্রে যে বাড়তি খরচ হয় তা কমবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ফেণী নদীর উপর নির্মীয়মান সেতুর কাজ শেষ হলে জলপথে ফেণী নদীর মাধ্যমে কম খরচে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিত পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়া যাবে৷ তাতে ভারত, বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জনগণ উন্নয়নের নতুন দিশা পাবেন৷ আজকের এই ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এবং রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় উপস্থিত ছিলেন৷