নয়াদিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : শিক্ষক-শিক্ষিকারাই হচ্ছে দেশের উন্নয়নে প্রধান স্থপতিকার। তাদের জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। পাশাপাশি মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। ইন্টারনেটের যুগেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, গুগল কোনওদিন গুরুর জায়গায় নিতে পারবে না।
বুধবার শিক্ষকদের জাতীয় সম্মাননা পুরস্কার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, সার্বজনীন শিক্ষার মান উন্নতি করতে হলে প্রত্যেক পড়ুয়াকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রত্যেক শিশুকে বুঝতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি পড়ুয়া-বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গোটা পৃথিবী ভারতকে ‘বিশ্ব গুরু’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিগত ২০০০ বছর ধরে সারস্বত চর্চার ধারা বয়ে চলেছে এ দেশে। ভাল মানের শিক্ষা সমস্ত শিশু, কিশোর এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের দেওয়ার জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। নীতি শিক্ষার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। তার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে মূল্যবোধ বৃদ্ধি করতে হবে। সাম্য ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজের দক্ষতা দিয়ে ভাল মানের শিক্ষা প্রদান করবে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সেরা ৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এদিন জাতীয় পুরস্কার ২০১৭ দিয়ে ভূষিত করা হয়। পুরস্কার তুলে দেন উপ-রাষ্ট্রপতি নিজে। ১৯৫৮ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এস রাধাকৃষ্ণণ স্মৃতিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। উপ-রাষ্ট্রপতি ছাড়া এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। ছিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়া।
মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের উপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি পরামর্শ দেব।