আলওয়ার, ২৮ জুলাই (হি.স.) : নজিরবিহীন ভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা তথা রাজস্থানের মন্ত্রী যশবন্ত সিং যাদব। মমতাজি উচিত হিন্দুধর্ম ত্যাগ করা। তার মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই বলে দাবি করেন যশবন্ত সিং যাদব।
শনিবার রাজস্থানের শ্রমমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং যাদব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধ তোপ দেগে বলেন, ‘‘যার নিজের জ্ঞান নেই। যিনি নিজের দেশকে ভালবাসে না। এর থেকে নির্লজ্জ বক্তব্য আর কি হতে পারে? মমতাজি বলেছেন, ‘যত হিন্দু সংগঠন রয়েছে সবকটা সন্ত্রাসবাদী।’তার উচিত হিন্দু ধর্ম ছেড়ে দেওয়া। মমতাজি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে গণপিটুনির প্রসঙ্গে ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যে ভাবে গণপিটুনির ঘটনা গোটা দেশজুড়ে চলছে তাতে মনে হচ্ছে তারা জনগণের মধ্যে তালিবান তৈরি করছে। আর মানুষকে উগ্রপন্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিজেপি এবং আরএসএস ধর্মের নামে নোংরা খেলায় মেতেছে।
এদিন গণপিটুনির প্রসঙ্গে রাজস্থানের শ্রমমন্ত্রী যশবন্ত সিং যাদব বলেন, নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে কাউকে মারা বেআইনি এবং ভুল। গরু হচ্ছে হিন্দুদের প্রতীক আর এই অবৈধ ব্যবসা যদি বন্ধ না হয় তবে প্রতিক্রিয়া চলতে থাকবে। কোনও সরকার এবং অন্যান্য সংস্থা এটাকে বন্ধ করতে পারবে না।
বিজেপির তরফ থেকে বরাবরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করা হচ্ছিল। সেই প্রসঙ্গে শনিবার মেদিনীপুর কলেজিয়েট মাঠের সভায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, রাজ্যের হিন্দুদের জন্য বিজেপি কিছু করেনি। যে রেড রোডে ঈদের নামাজ হয় সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্গা পুজোর ভাসানকে কার্নিভালের রূপ দিয়েছেন।