নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ২ জুলাই৷৷ ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের খাজানার হিসাব নিকাশ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ বিশেষ করে স্বর্ণ ও রূপার
অলংকারগুলি হিসাব করা হচ্ছে৷ সোমবার থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ বুধবারও হবে খাজানার হিসাব নিকাশ৷ প্রথম দিনে দুটি ট্রাঙ্কে রাখা স্বর্ণ ও রূপার অলংকার হিসাব করা হয়েছে৷ বাকি আরও পাঁচ-ছয়টি ট্রাঙ্কের অলংকারগুলি বুধবার ওজন দিয়ে হিসাব করা হবে৷ কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই স্বর্ণা লঙ্কার ও মুদ্রার ওজন দিয়ে হিসাব নিকাশ করা হচ্ছে৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে সর্বশেষ হিসাব করা হয়েছিল ১৯৪৯ সালে৷
সংবাদে প্রকাশ, সোমবার গোমতী জেলা শাসকের ট্রেজারি বিভাগে মজুত রাখা মাতা ত্রিপুরেশ্বরীকে উৎসর্গ করা বিভিন্ন স্বর্ণা, রূপা ও মূল্যবান মুদ্রার হিসাব নিকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ পরিমাপ কমিটির চেয়ারম্যান হলে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুব্রত পাল৷ তাছাড়া কমিটিতে রয়েছেন গোমতী জেলার জেলা শাসক টি কে দেবনাথ, মহকুমা শাসক সুভাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পুলিশ সুপার এ আর রেড্ডি, ডিএফও, সিনিয়র ডিসি প্রমুখ৷ এদিন সকালে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জেলা শাসকের অফিসের ট্রেজারিতে শুরু হয় খাজানার হিসাব নিকাশ৷ দুটি ট্রাঙ্কের অলংকার পরিমাপ করা হয়েছে৷ তাতে দেখা গিয়েছে, স্বর্ণালঙ্কারের মোট ওজন ৭৯৪৭০৭০ গ্রাম৷ কেজির হিসাবে ৭ কেজি ৯৪৭ গ্রাম৷ যার বাজার মূল্য নূ্যনতম ২ কোটি ৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৬৭ টাকা৷ এদিকে, রূপার অলংকারের মোট ওজন ৪১৬৩০৯১ গ্রাম৷ কেজির হিসাবে ৪১ কেজি ৬৩১ গ্রাম৷ জানা গিয়েছে, স্বর্ণ ও রূপার অলংকারের পাশাপাশি রাজন্য আমলের মুদ্রা এবং ব্রিটিশ আমলের মুদ্রাও রয়েছে৷ এইসব মুদ্রার লক্ষ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে৷ এদিকে, আগামী বুধবার আরও কিছু ট্রাঙ্কের স্বর্ণ ও রূপার অলংকারের হিসাব নিকাশ করা হবে৷