BRAKING NEWS

অসমে প্রলঙ্করী বন্যা, লক্ষাধিক মানুষ প্রভাবিত, নিহতের সংখ্যা ৩২

গুয়াহাটি, ১ জুলাই (হি.স.) : গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে অসমের বিভিন্ন এলাকায় ফের বন্যাত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে৷ প্রথম বন্যার জল এখনও বহু অঞ্চল থেকে নামেনি। এরই মধ্যে নতুন করে বহু বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
বন্যা কবলিত প্রতাপগড়৷ সোমবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

সরকারি সূত্রের খবর, নিম্ন অসমের পাশাপাশি উজান অসমেও সৃষ্টি হয়েছে বন্যার পদধ্বনী। লখিমমপুর, শোণিতপুর, যোরহাট, ধেমাজি, বিশ্বনাথ, চড়াইদেও, হাইলাকান্দি ইত্যাদি জেলায় ফের বন্যার তাণ্ডব শুরু হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে প্রলয়ঙ্করী বন্যা ও ভূমিধসে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।

একইভাবে অরুণাচল প্রদেশের পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে অসমের নিম্নাঞ্চল। রাজ্য দুৰ্যোগ মোকাবিলা বিভাগের জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী উজান অসমের শিবসাগর জেলার দিসাং নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে নঙলামুড়াঘাট, গোলাঘাট। নুমলিগড়ে ধনশিরি নদী, শোণিতপুরে জিয়াভরালি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া যোরহাট জেলার নিমাতিঘাট, শোণিতপুরের তেজপুর এবং নিম্ন অসমের ধুবড়ি জেলায় ব্ৰহ্মপুত্ৰ ফুঁসে উঠছে। ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত মানুষজন সুরক্ষিত উঁচু স্থানে আশ্ৰয় নিয়েছেন।
অন্যদিকে অরুণাচল প্ৰদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং ত্ৰিপুরায়ও গত দু-তিনদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হবে বলে সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছে আঞ্চলিক আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্ৰ। সে অনুয়ায়ী, পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে যদি ধারা বৃষ্টি হয়, তা হলে অসমের কপালে বিপদ অপেক্ষা করছে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রাজ্য দুৰ্যোগ মোকাবিলা কৰ্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, সাম্প্ৰতিক বন্যায় অসমের পাঁচটি জেলার আটটি রাজস্ব চক্ৰের ৭৪টি গ্রামের জনসাধারণ ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন। এখনও ২৬টি ত্রাণশিবিরে আশ্ৰিত বহু বন্যাক্রান্ত। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০১ হেক্টর কৃষিজমির শস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *