কলকাতা, ২৯ জুন (হি. স.): রোজভ্যালির আরও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি) | শুক্রবারই রোজভ্যালির সম্পত্তি থাকা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকরা। রাজারহাট ও নিউটাউনের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু জমি রয়েছে রোজ়ভ্যালির। সেই এলাকাগুলিই পরিদর্শন করেন আধিকারিকরা।
২০১৪ সালে রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু সহ সংস্থার একাধিক শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এ এফআইআর দায়ের করে ইডি। ২০১৫-র মার্চে গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর গত বছর ৩০ জুলাই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নোটিশ সল্টলেকের ইডি দফতর থেকে জারি করা হয়।
রোজ ভ্যালির বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসমের ৬ টি হোটেল, ত্রিপুরায় ১৭ একরের বিনোদন পার্ক, কলকাতায় ১,৪৬, ৩৬৪ স্কোয়ার ফুটের অফিস, ভুবনেশ্বরে ১১,৪৪৫ স্কোয়ার ফুটের জমি, ১৩ টি প্লট, কলকাতার একটি হাউসিং কমপ্লেক্সে ৩ টি ফ্ল্যাটসহ গ্যারেজ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয় তার বাজারমূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। রোজভ্যালির ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাদের মোট ১৯৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
রাজারহাট এলাকায় মোট কত পরিমাণ জমি রয়েছে তা জানতে আজ সকালে রাজারহাট ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দফতরে পৌঁছান ইডি আধিকারিকরা। তারপর সেখান থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। জমিগুলি মাপঝোক করেন তাঁরা। এবার সেগুলি অ্যাটাচ করবে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, বাগুইআটি, মন্দারমণি, দক্ষিণ কলকাতার সোনারপুর সহ রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে রোজ় ভ্যালির একাধিক সম্পত্তি। সমস্ত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে সোনার গয়নার বড় দোকান, জমি, বাড়ি, রিসর্ট ও হোটেল ইত্যাদি। সেই সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে এগোচ্ছে তারা।