BRAKING NEWS

নির্বাচিত সংস্থায় সিপিএম সদস্যদের পদত্যাগ ঘিরে বিধানসভায় জোর চর্চা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুন৷৷ সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থাগুলির জনপ্রতিনিধা ইস্তফা দিতে থাকার বিষয়টি বুধবার বিধানসভায় উত্থাপিত হয়েছে৷ তবে, সদ্য ক্ষমতাচ্যুত তথা বিধানসভায় বিরোধী সিপিএম সদস্যরা এই ইস্যুটি উত্থাপন করলেও নিজেরাই কার্যত বেসামাল হয়ে পড়েন৷ বিধানসভার প্রশ্ণোত্তর পর্বে বিষয়টি উত্থাপন করেন বিরোধী দলের বিধায়ক সুধন দাস৷ এ বিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ বলেন, বলপূর্বক কাউকে পদত্যাগ করানো হয়েছে বলে কোনও খবর নেই৷ এইে উত্তরের পর অতিরিক্ত প্রশ্ণে সুধন দাস জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত এবং পুর পরিষদের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে তাঁদের পদত্যাগ করানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন৷ কিন্তু, এ বিষয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ বলেন, বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে৷ তৃণমূল স্তর থেকে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে৷ অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সরকারি কাজে গতি নিয়ে এসেছে৷ রেগার কাজে সাফল্য এসেছে৷ আগে যে পরিমাণ কাজ হত তার চাইতে অনেক বেশি কাজ হয়েছে সাম্প্রতিককালে৷ গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে৷

বিরোধীরা এই বক্তব্য সন্তুষ্ট হতে পারেননি৷ বিরোধীরা নামধাম উল্লেখ করে সিপিএম এর নির্বাচিত সদস্যদের উপর বলপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেন৷ ২,০০০ এর বেশি নির্বাচিত সদস্যদের পদত্যাগ করানোর অভিযোগও তুলেন তাঁরা৷ এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ দাঁড়িয়ে উল্লেখ করেন, নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম থেকেই এ ধরনের অভিযোগ উঠে আসছিল৷ বিরোধী দলের অধীনে থাকা পঞ্চায়েতগুলি নির্বাচিত সদস্যরা পদত্যাগ করছেন বলে খবর আসে৷ মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সমস্ত মন্ত্রীদের ডাকিয়ে বৈঠক করেন এবং খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন৷ বিরোধী দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগের জন্য কোনও ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে কিনা তা খোঁজ নিতে বলা হয়৷ কিন্তু, খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেছে তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদত্যাগ করছেন৷ কারণ এতদিন তাঁরা বাধ্য হয়ে তাদের নিজস্ব মতাদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে সিপিএম করতে বাধ্য হয়েছেন এবং সিপিএম এর হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়তে বাধ্য হয়েছিলেন৷ সরকার বদলের পর রাজ্যে গণতান্ত্রিক বাতাবরণ ফিরে এসেছে৷ এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পেয়েছেন সকলে৷ ফলে এখন আর তাঁরা সিপিএম এর নিয়ন্ত্রণে থাকতে রাজি নন৷ মুক্ত চিন্তার সুযোগ পেয়ে তাঁরা পদত্যাগ করতে শুরু করেন৷ এই বক্তব্যের পর বিরোধী দলের কোনও সদস্যই আর কিছু বলার সুযোগ পাননি৷ কেউ কিছু বলার জন্য উঠে না দাঁড়ানোয় অধ্যক্ষ বিষয়ান্তর ঘটনা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *