নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুন৷৷ প্লাস্টিক আতঙ্ক ত্রিপুরার পিছু ছাড়ছে না। ডিম, আটা ও লবণের পর এবার ত্রিপুরায় আত ছড়াচ্ছে প্লাস্টিকের চাল। যদিও রাজ্য খাদ্য দফতরের কাছে চালের নমুনা জমা পড়েছে। সে অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শুরু হয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক চাল সরবরাহ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, রবিবার আগরতলার কৃষ্ণনগর এলাকার নতুনপল্লির বাসিন্দা তুষার দেববর্মার বাড়িতে মিলেছে প্লাস্টিকের চাল।
তুষার দেববর্মা জানান, তিনি আগরতলার একটি দোকান থেকে ২৫ কেজি ওজনের এক প্যাকেট চাল কিনে এনেছেন। এদিন তাঁর স্ত্রী চাল দিয়ে ভাত রান্না করেন। রান্নার পর প্রেশার কুকার খুলতে গেলে দেখা যায় কুকারের ঢাকনার চারপাশে রবারের ফিতার মতো একটি আস্তরণ লেগে আছে। ওই আস্তরণ উঠাতে গেলে লম্বা হয়ে যাচ্ছে। ভাতও রবারের মতো। ভাত দিয়ে বল তৈরি করে ঘরের মেঝেতে ছুঁড়লে পিংপং বলের মতো লাফাচ্ছে।
প্যাকেটজাত চাল ও প্যাকেটের গায়ে বাজারজাতকারী সংস্থার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরের উল্লেখ নেই। এ সবের কারণে তুষার দেববর্মার সন্দেহ হচ্ছে বাজার থেকে কেনা চাল প্লাস্টিকের তৈরি অথবা চাষ করা চালের সঙ্গে মেশানো রয়েছে নকল চাল। এ ঘটনা শোনার পর বাজার থেকে চাল কিনতে ক্রেতাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাজার থেকে কেনা চাল দিয়ে রান্না করা ভাতের বলটি একাধিকবার মেঝেতে ছুঁড়লেও ভাঙেনি। বাজার থেকে কেনা চাল দেখে বোঝা যাচ্ছে না চাল তৈরিতে অন্য কোনও পদার্থ মিশ্রিত আছে কিনা।
জানা গেছে, চালের এই নমুনা সম্পর্কে রাজ্য খাদ্য দফতরকে অবহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে নমুনা খাদ্য দফতরের কাছে গেছে পরীক্ষার জন্য। তবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি চক্র রাজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এ সব কাজ করে চলেছে।