BRAKING NEWS

তালিবানী কায়দায় প্রচারমাধ্যমের কন্ঠরোধ হচ্ছে, অভিযোগ অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের

কলকাতা, ২৭ এপ্রিল (হি. স.): মনোনয়নপর্ব থেকে পঞ্চায়েত ভোটের নানা প্রক্রিয়ায় শাসক দল ফাসিস্ত রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বুদ্ধিজীবিদের একটি গোষ্ঠী। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘সেভ ডেমোক্রাসি’ নামে এই গোষ্ঠীর তরফে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, “তালিবানী পদ্ধতিতে প্রচারমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে।” উল্লেখ করা যেতে পারে, এই বুদ্ধিজীবীদের কয়েকজন বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে চা চক্রে মিলিত হয়েছিলেন।
প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “ব্রিটিশ আমলে দেশদ্রোহিতার দায়ে স্বাধীন মতপ্রকাশের দায়ে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিগৃহীত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ফাসিস্ত কায়দায় সন্ত্রাস চলছে বিরোধীদের ওপর। আক্রান্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা।”
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোকবাবু এ দিন অভিযোগ করেন, “মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বিরোধী প্রার্থীদের ওপর শাসক দলের চাপ আসছে। এই চাপ গ্রামেগঞ্জে প্রার্থীরা সামলাবেন কী করে?”
গণতন্ত্র বলে এ রাজ্যে কিছু নেই। এই দাবি করে ‘সেভ ডেমোক্রাসি’-র পরিচালক চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, “গোঘাট থেকে আমাদের এই আলোচনায় তাঁদের ভোটের মনোনয়নের ব্যাপারে অভিজ্ঞতা জানাতে এক দম্পতির আসার কথা ছিল। ওঁরা ফোনে জানিয়েছেন, সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বাড়ি ঘিরে রেখেছে। একই অভিযোগ পেয়েছি উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট ও দেগঙ্গার দুই প্রার্থীর কাছ থেকে।”
এ দিন হুগলির রাখী রায় সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিতে গিয়ে কীভাবে লাগাতার হেনস্থা হয়েছেন, সাংবাদিকদের কাছে তা সবিস্তার জানান। তিনি অভিযোগ করেন, “আমার সন্তানের চেয়েও ছোট তৃণমূলী ছেলেরা বলেছে, মনোনয়নপত্র জমা দিলে গুলি করে মেরে দেব। পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছি না।” মুর্শিদাবাদ থেকে আসা মোশারফ হক তাঁর ওপর কী নির্যাতন চালিয়েছে শাসক দলের ছেলেরা, তা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে দেন। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম তাঁকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। মোশারফ অভিযোগ করেন, “মারধর ছাড়াও নানা ভাবে হয়েছে অত্যাচার। মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ৫২ দিন কারাবাস করতে হয়েছে আমাকে। এখনও নানা ভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে আমাদের |”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *