BRAKING NEWS

কদমতলায় সরকারী অর্থের হরির লুট, প্রকাশ্যে আসতেই পঞ্চায়েত সচিব সহ সদস্যদের তালাবন্দী করলেন ক্ষুব্ধ জনতা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৬ এপ্রিল৷৷ বাম শাসনের পতন ঘটতেই বিজেপি দলের শাসন শুরু হতেই বিভিন্ন দপ্তরের পাহাড় সমান দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে৷  উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকের অধীন কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা দুর্নীতি সামনে এলো৷ বৃহত্তর কদমতলা বাজার, পশুহাট, মাছ বাজার, সব্জি বাজার, কলা বাজার সহ নানা বাজার শেডগুলি পরিচালনা করে কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েত৷ কিন্তু গত ২০১৪ সাল থেকে কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতটি সিপিআই(এম) দলের শাসনে যায়৷ তারপর থেকেই শুরু অর্থের হরির লুট৷ পঞ্চায়েত প্রধান, সসদ্য সহ সচিব জি আর এস  সিপিআই (এম) দলের বগলের মানুষ বলে তাদের রক্ত চক্ষুর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি৷ রাজ্যে নতুন সরকার আসাতেই জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন৷ রাজ্যের নানা প্রান্তের বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতি জনসম্মুখ তুলে ধরছেন সাধারণ জনগণ৷ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় সাধারণ জনগণ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের উপর অতিষ্ঠ হয়ে আজ পঞ্চায়েত অফিসে যান৷ কারণ আজ ছিল কদমতলা পশু হাটের নিলাম ডাক৷ বিগত ১৪ ইং সাল থেকে পশুহাট, বৃহত্তর বাজার, সব্জি বাজার, মাছ বাজার সহ অন্যান্য বাজার সেড গুলির চন্দিয়ানা ও মাশুলের টাকার কোন হদিশ পাননি স্থানীয় জনগণ৷ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সহ প্রধান সদস্য আত্মসাৎ করেছেন বলে স্থানীয় জনগণের অভিযোগ৷ তাই আজ পুনরায় পশুহাটের নিলাম ডাক হবে শুনে স্থানীয় জনগণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব জি আর এস সহ প্রধানের কাছে বিগত ৪টি বৎসরের চান্দিয়ানা ও মাশুলের হিসাব চান৷ কিন্তু পঞ্চায়েত সচিব পল্লব চক্রবর্তী, জিআরএস আলম হুসেন ও অমর দাস সহ পঞ্চায়েত প্রধান শিল্পি আচার্য্য, উপ-প্রধান সিরাজ উদ্দিন বিগত ৪বৎসরের চান্দিয়ানা ও মাশুলের হিসাব দিতে পারেননি৷ অবশেষে স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে পঞ্চায়েত সচিব জিআরএস, প্রধান, উপ-প্রধান সহ সকল পঞ্চায়েত সদস্যদের পঞ্চায়েত কার্য্যালয়ের ভেতরে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে দেন৷ দীর্ঘক্ষন তালাবন্দী থাকার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কদমতলা থানার পুলিশ৷ ছুটে আসেন কদমতলা আরডি ব্লকের পঞ্চায়েত একস্টেনশন অফিসার দিপঙ্কর চক্রবর্তী৷ দিপঙ্কর চক্রবর্তী কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে এসে উত্তেজিত স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে আশ্বস্থ করেন যে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সকল চান্দিয়ানা ও মাশুলের হিসাব প্রদান করা হবে৷ আর যদি এই চান্দিয়ানা ও মাশুলের টাকার হিসাব দিতে ব্যর্থ হন তাহলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ পঞ্চায়েত অফিসারে কথায় আশ্বস্থ হয়ে স্থানীয় জনগণ সচিব, জিআরএস, প্রধান, সদস্যদের তালা মুক্ত করে দেন৷

এদিকে স্থানীয় জনগণের বক্তব্য পঞ্চায়েত সচিব, জিআরএস, প্রধান, উপ-প্রধান দীর্ঘদিন থেকে দেদার অর্থ লুন্ঠন করছেন৷ পশুহাটের চান্দিয়ানা  ৪ লক্ষ ৭০ হাজারের মধ্যে কাগজে কলমে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা দেখিয়েছেন৷ মাছ বাজারের বাৎসরিক মাশুল, ৫ হাজার টাকা হলেও ২০১৪ সাল থেকে মাত্র একবার মাশুল কাগজে কলমে জমা দেখিয়েছেন৷ গোটা কদমতলা বাজার নোংরা আবর্জনায় এক অস্বাস্থ্য কর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে পঞ্চায়েত৷ নেই বাজারে শৌচালয়ের সুব্যবস্থা৷ কিছু দিন পূর্বে কদমতলা বাজারে ৫টি ডাষ্টবিন দেখা গেলেও এখন ডাষ্টবিনটির স্থান পঞ্চায়েতের বারান্দায়৷ এমনকি দুর্গাপূজার প্রাক মুহূর্তে কদমতলা বাজারে স্ট্রিট লাইট লাগানোর নাম করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে৷ কিন্তু বাস্তবে একটি লাইট লাগেনি৷ পাশাপাশি পঞ্চায়েত অফিসটি দালান বাড়িটি সংস্কারের অভাবে ধবংসের মুখে৷ নেই জলের সু-ব্যবস্থা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *