নয়াদিল্লি, ৩ এপ্রিল (হি.স.) : ভুয়ো সংবাদ ইস্যুতে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক | সোমবারই ‘ফেক নিউজ’ বা ‘জাল, ভুয়ো খবর’ ছড়ালে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের সরকারি স্বীকৃতি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক | যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে আজ মঙ্গলবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় |
আমেরিকার মত পশ্চিমী দেশের পর জাল খবর নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতেও। অনেক ক্ষেত্রেই সাংবাদিকরাই প্রশ্ন তুলেছেন, সংবাদমাধ্যমের দায়বদ্ধতা নিয়ে। এমত পরিস্থিতিতে গতকাল ভুয়ো সংবাদে রাশটানতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক | বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় কোনও সাংবাদিক ভুয়ো খবর করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ও নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। ভুয়ো খবর যদি কাগজের ক্ষেত্রে হয়, সেক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। টিভি চ্যানেলগুলোর ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের। 15 দিন সময় দেওয়া হয়েছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। ওই সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কাউন্সিলকে। ভুয়ো খবর করার জন্য প্রথমবার দোষী প্রমাণিত হলে, সেই সাংবাদিকের ছয়মাসের জন্য প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল হবে। দ্বিতীয়বার একই দোষে দোষী হলে, এক বছরের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল হবে। তৃতীয়বার একই ভুল করলে, বরাবরের জন্য ওই সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল হবে।
তবে গতকালের এই জ্ঞপ্তিতে নানা মহল অসন্তোষ প্রকাশ করে মিডিয়ার ওপর খবরদারির চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানায়। এরপর আসরে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী | ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে গতকালের বিজ্ঞপ্তিটি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টি প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানোর পরামর্শ দিলেন। পিএমও বলেছে, কোনটা ভুয়ো খবর, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে অবশ্যই প্রেস কাউন্সিল ও ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বা এনবিএ। সরকারি সূত্রের খবর, সরকারের কোনটা ভুয়ো খবর, কোনটা তা নয়, সে ব্যাপারে মাথা ঘামানো উচিত নয় বলেই মত পিএমও-র। এরপর আজ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক |