নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২১ মার্চ৷৷ কৈলাসহর চন্ডিপুর বিধানসভা এলাকা দীর্ঘদিন বামেদের দখলে৷ এই কেন্দ্র থেকে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত হয়ে আসছেন পূর্বতন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷ তিনি স্বাস্থ্য দপ্তরের মন্ত্রীও ছিলেন৷ এই বিধানসভার পঞ্চম নগর মাইলং এডিসি এলাকার এক দরীদ্র উপজাতী ব্যক্তি হেমন্ত দেববর্মা তার নিজের জায়গা দিয়ে ছিলেন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের জন্য৷ এই উপজাতী বৃদ্ধকে বলা হয়েছিল তার ছেলে বা পরিবারের এক জনকে সরকারী চাকুরি দেওয়া হবে৷ কথা দিয়ে ছিল প্রধান ও পঞ্চায়েতের সদস্যরা এই কথা মত জমি দেওয়া হয়েছিল৷ মন্ত্রীকে বার বার জানানো হয়েছিল ছেলের চাকুরীর বিষয়ে৷ কথা দিয়ে কথা রাখেনি কেউই৷ হঠাৎ করে সরকার বদল হয়ে গেল৷ চাকুরি আশাও ম্লান হয়ে গেছে৷ তাই ঐ বঞ্চিত পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন৷ তিন দিন বন্ধ থাকার পর এলাকার লোকজন বঞ্চিত পরিবারটিকে বুঝিয়ে তালা খোলার ব্যবস্থা করেন৷ উপজাতী বৃদ্ধার বক্তব্য যারা চাকুরির কথা দিয়েছিল ভোটের পর তারা কেউ পঞ্চায়েত আসেননি৷ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কে চাকুরি দেবে৷ তিনি দাবি করেন, এখনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জায়গাটি সরকারের নামে যায়নি৷ তার নামেই রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে রাজ্যে৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিপিএম দলের নেতা কিংবা পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানরা আশ্বাস দিয়ে জমি নিয়ে সেখানে সরকারী অফিস কিংবা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরী করছে৷ চাকুরী পাওয়ার আশায় জমি দিয়ে দিয়েছেন৷ কিন্তু পরে সরকারী চাকুরীর কথা ভুলে যান৷ আর তখনই বঞ্চিতরা অফিস অঙ্গনওয়াড়ি ইত্যাদিতে তালা ঝুলিয়ে দেন৷