নয়াদিল্লি, ২৫ ফেব্রুয়ায়রি (হি.স.): মন কি বাত অনুষ্ঠানে বিশ্বখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ও সত্যন্দ্রনাথ বসুর স্মৃতিচারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্যার জগদীশচন্দ্র বসু এবং হরগোবিন্দ খুরানা থেকে সত্যন্দ্রনাথ বসুর মতো বৈজ্ঞানিক ভারতের গৌরব। সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে তো ‘বসোন’ নামে কণার নামকরণও করা হয়েছে।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে রোবট এবং নির্দিষ্ট কাজ করতে সক্ষম যন্ত্র বানাতে সহজ হবে। আর আজকাল তো স্বশিক্ষার মাধ্যমে নিজের বুদ্ধিমত্তাকে আরও বেশি বিকশিত করা যায়। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে দ্বিব্যাঙ্গ(প্রতিবন্ধী) ভাই ও বোনেদের জীবনধারণ যাতে সহজ হয় তার জন্য আমি বৈজ্ঞানিকদের কিছু করার জন্য আবেদন করব। পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে আমরা আগে থেকেই চিহ্নিত করতে পারব।’
পথ দুর্ঘটনা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাদ দিয়ে যে অন্য বিপর্যয় আমাদের দেশে ঘটে, সেই বিষয়েও নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাদে বেশির ভাগ দুর্ঘটনাই আমাদের অবহেলার কারণে ঘটে। আমরা যদি সতর্ক থাকি এবং নিয়ম মেনে চলি তবে এইসব পরিস্থিতি আমরা এড়াতে পারব।’
মহারাষ্ট্রের এলিফ্যান্টা গুহাসমূহে বিদ্যুৎতায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭০ বছর অন্ধকারে কাটানোর পরে এলিফ্যান্টা দ্বীপের তিনটি গ্রামে অবশেষে বিদ্যুৎ এলো। এর জন্য আমি সাধারণ এবং প্রশাসনকে শুভেচ্ছা জানাই। বায়োগ্যাসের ব্যবহার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাজেটে ‘সম্পদের অপচয়’ এবং ‘শক্তির অপচয়’ রুখে কি করে তা বায়ো গ্যাসে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামগুলিতে বায়ো গ্যাস কি করে সরবরাহ করা হয় তার জোর দেওয়া হয়েছে।’ বর্জ্যকে কি করে পুনঃব্যবহার করা যায় সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সঙ্গীত উৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব, খাদ্য উৎসবের নাম শুনেছি। কিন্তু ছত্তিশগড় ভিন্ন পথে হেটে ‘ট্রাশ মহোৎসব’(বর্জ্য মহোৎসব)-এর আয়োজন করেছে। যা দিয়ে কোনও ফেলে দেওয়া জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। এর ফলে বর্জ্যকে পুনরায় অন্য কাজে ব্যবহার করার জন্য সচেতনতা গড়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ভারত নারী কেন্দ্রিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে।