BRAKING NEWS

পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু সহ ১৬জন, ৩ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা

রাঁচি, ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব| শনিবার রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ১৬ জনকে | এদিনের রায়ে আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র সহ ছয়জনকে বেকসুর খালাস করেছে সিবিআই আদালত | জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে লালুকে | ৩ জানুয়ারি এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হবে।

১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পশুখাদ্যের নাম করে কোষাগার থেকে ৮৯.২৭ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে লালুপ্রসাদ যাদব, জগন্নাথ মিশ্র, আর কে রানা, প্রাক্তন আইএএস অফিসার ফুলচাঁদ সিং, বেক জুলিয়াস ও মহেশ প্রসাদ, বিহারের বিদ্যাসাগর নিশাদ, জগদীশ শর্মা ও ধ্রুব ভগতদের মতো সাংসদ, আইএএস অফিসার ও সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। শুরু হয় মামলা। ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালের ২৭ অক্টোবর ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তদের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজন রাজসাক্ষী হয়েছেন। দু’জন অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন।

দেওঘরের সরকারি কোষাগার থেকে পশুখাদ্য কেনার জন্য বরাদ্দ ৮৯.২৭ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে তুলে নেওয়া সংক্রান্ত মামলার রায় বার হল এদিন। এই মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০B, ৪০৯, ৪১৮, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৭ (এ), ২০১ ও ৫১১ এবং দুর্নীতি দমন আইনের ১৩ (১) ডি ও ১৩ (২) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন লালু সহ ১৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আজ থেকে সাজা ঘোষণার দিন ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত লালুকে জেলে থাকতে হবে। তবে শনিবারের এই রায়ে আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র সহ ছয়জনকে বেকসুর খালাস করেছে সিবিআই আদালত|

এর আগে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন লালু। তাঁর ৫ বছরের জেল হয়, বাতিল হয় সাংসদ পদ, ভোটে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু সে বছরই ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়ে যান তিনি। আজ ওই কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলার রায় বার হল।

জাল নথি দেখিয়ে ১৯৯১-৯৪-এ বিহারের বিভিন্ন সরকারি কোষাগার থেকে ৯৫০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া সংক্রান্ত মামলাই হল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা। পশুখাদ্য কেনার জন্য বরাদ্দ রাজ্য সরকারের ওই অর্থ বিহারের রাজনীতিক ও সরকারি আধিকারিকরা নয়ছয় করেন বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *