বন, ৭ নভেম্বর (হি.স.): সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল ২০১৬ সাল। কিন্তু তাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ২০১৭ সাল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের দেওয়া তথ্যানুসারে, ২০১৭ সালই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। পৃথিবীর তিনটি উষ্ণতম সালের ভিতর ২০১৭ সাল একটি।
১৮৮০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু হয়। সেই রেকর্ডের ধারাবাহিকতা অনুসারে ২০১৬ সাল ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর। তার আগে বিংশ শতাব্দীর উষ্ণতম বছরের মধ্যে ছিল ২০১৫ সাল।
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১.৬৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট। সেখানে ২০১৬ সালে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ০.০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট। শুধু যে তাপমাত্রা বাড়ছে তাই নয়, জাতীয় সমুদ্র এবং আবহমণ্ডল প্রশাসন (ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এনওএএ)–এর পৃথক একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় বরফ গলার পরিমাণও বেড়েছে।
২০১৬ সালের উষ্ণায়নের দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে ২০১৭ সাল৷ বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া সংক্রান্ত সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেছেন ওয়ার্ল্ড মেটারোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল পেট্টেরি টলাস৷ তবে উষ্ণতম বছরের তালিকায় থেকে যাবে ২০১৭, এমনই জানাচ্ছেন তিনি৷
রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলছে, খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ফলে বাতাসে কার্বন ডাই–অক্সাইড, মিথেন এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থের পরিমাণ বাড়ছে। আর সেকারণেই গ্রীন হাউস গ্যাসও বায়ুস্তরে বেড়ে চলেছে। ফলে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় এল নিনোর প্রভাবেও বেড়েছে তাপমাত্রা। ফলে দুই মেরুর বরফ গলার পরিমাণও ক্রমশ বাড়ছে৷ বাড়ছে জলস্তর৷ বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় তাপমাত্রার তারতম্যও দেখা দিচ্ছে৷ বিশ্বায়নের ফলে কলকারখানার পরিমাণ বৃদ্ধি, বনজঙ্গল কেটে ফেলাও পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

