নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ জুলাই৷৷ ছৈলেংটায় রাজনৈতিক সন্ত্রীসে আহত বিজেপি’র নেতা নিশিকান্ত চাকমার মৃত্যুকে

ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ মৃতদেহ আজ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে জনঢল নামে৷ এইদিকে ময়নাতদন্তের পর আজ প্রয়াত নিশিকান্ত চাকমার মৃতদেহ পার্টির প্রদেশ কার্যালয়ে আনা হয় এবং পার্টির পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়৷ তারপর মরদেহ নিয়ে বিজেপি শোক মিছিল করে৷ আগরতলায় বিভিন্ন পথ প্রক্রমা করে৷ প্রয়াত বিজেপি কর্মীর নিথর দেহ পার্টি অফিসে পৌঁছতেই বুধবার সকালে চোখের জলে অন্তিম শ্রদ্ধা জানায় সবাই৷ শাসক দল রাজ্যে সন্ত্রাসের আবহ তৈরী করছে৷ কর্মীর মৃত্যুতে আক্রমাত্মক হয়ে উঠেন নেতৃত্বরা৷ বিজেপি দলের একনিষ্ঠ কর্মী নিশিকান্ত চাকমার নিথর দেহে কৃষ্ণনগর কার্যালয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে এমনভাবেই সাঁড়াশি আক্রমণ হানেন প্রদেশ সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক৷ গণতন্ত্র লুন্ঠন করে শক্তি খাটিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়৷ চানমোহন ত্রিপুরা হত্যাকান্ডের পর নিশিকান্ত চাকমা হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুশিয়ারী দিয়েছেন সুবল বাবু৷ ২৫ বছর ধরে ত্রিপুরায় বিরোধী দলের কর্মী সমর্থক খুন হচ্ছে৷ সম্প্রতী রাজ্যজুড়ে বিজেপি’র উত্থান দেখে লাল সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে ক্যাডাররা৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার লাল সন্ত্রাস শুরু করার মুখ্য কান্ডারী বলে তোপ দেগেছেন তিনি৷ শহর ও শহরতলি এলাকায় বিরোধীরা ঘড়বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে৷ অবিলম্বে শান্তি ফেরাতে ক্যাডারদের লাগাম টানতে গড়িমসি করলে পাল্টা প্রতিরোধে হিংসা ছড়ালে দায় মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রহণ করতে হবে বলেও কড়া বার্তা দিয়েছেন সুবল বাবু৷ প্রয়াত নিশিকান্ত চাকমাকে পার্টি অফিসে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে গিয়েছেন মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, যুব মোর্চার প্রভারী অমিত রক্ষিত সহ অসংখ্য দলীয় কর্মীরা৷
আজ সন্ধ্যায় নিশিকান্ত চাকমার মৃতদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়৷ মনু থেকে মিছিল করে ছৈলেংটা নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ৷ সেখানে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকলেই রয়েছেন৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি গতকালও প্রয়াতের বাড়িতে গিযে পরিবারের লোকজনের সাথে সাক্ষাত করেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন৷ আজ পুনরায় সন্ধ্যায় তিনি মৃতদেহের সঙ্গে মিছিলে হেঁটে প্রয়াতের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান৷ পরে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, এলাকায় সিপিআইএমের ক্যাডাররা এখনো সন্ত্রাসের বাতাবরণ জিইয়ে রাখতে চাইছে৷ তবে বিজেপির কর্মীরা সন্ত্রাসের মোকাবেলায় প্রস্তুত আছেন৷ পুলিশ সেদিন সমর্থক ভূমিকা নিলে প্রাণহানি হত না৷ বিজেপির পার্টির অফিস থেকে যখন সিপিআইএমের ক্যাডাররা হামলা চালাচ্ছিল তখন পাশেই স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ কিন্তু তাঁর ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের৷ অন্যদিকে বিজেপির কর্মীরা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে তাঁদের আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে পুলিশ৷ ফলে নিশিকান্ত চাকমাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে৷ এইদিকে রাজ্যের ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ একযোগে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে বিজেপি৷ রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়ে এই মিছিল প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে৷

